প্রকাশ: শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০, ১২:১২ এএম | অনলাইন সংস্করণ
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিএম মোজাম্মেল হকের সম্পদের বিবরণ চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন এমন খবর ছড়িয়েছে বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যমে।
এঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে বিএম মোজাম্মেল হক বলেন এটি সম্পূর্ণ অসত্য, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক। দুদকের কর্মকর্তার সাথে মোজাম্মেল হক কথা বলেছেন এমনটি জানিয়ে তিনি বলেন দুদক থেকে এ সংক্রান্ত কোন চিঠি ইস্যু হয় নাই।
তিনি বলেন, কিছু কুচক্রী মহল আওয়ামী লীগ নেতাদের চরিত্র হননের মিশনে নেমেছে এটি তারই অংশ। আমরা এসকল অপশক্তি ও ষড়যন্ত্রকরীদের কঠর হস্তে দমনে বদ্ধপরিকর।
রাজনৈতিক জীবনে জনাব, বি এম মোজাম্মেল হক কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক,লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে ১৯৮৩সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক, ১৯৮৯-১৯৯২ সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯২ সালে প্রথমে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পরে তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে সদস্য হিসেবে কো- অপ করা হয়।২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই পর্যন্ত উক্ত পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া, ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে পুনরায় দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০ তম জাতীয় কাউন্সিলে ৩য় বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন আজ অবধি।
বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টালের প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএম মোজাম্মেল হক।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএম মোজাম্মেল হক এর নেতা কর্মীরা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছেন এবং এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাসি এই ঘটনার সাথে জরিতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানিয়েছেন।