দেশের যে প্রশংসনীয় কাজ হচ্ছে তা একমাত্র শেখ হাসিনা বলেই সম্ভব হয়েছে : অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ১০:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনাময় দেশ। বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের সাফল্যের জন্য গর্ব করতে পারে। বিশ্বে কেবল অন্যরাই পেরেছে, আমাদের দিয়ে হবে না—সেটা আর সত্য নয়। বরং বাস্তবতা এটাই, আজ আর কোনো আবেগপ্রসূত নিছক অনুমানসিদ্ধ কোনো আশাবাদ নয় যে, বাংলাদেশ আজ একটি অনুসরণীয় উন্নয়ন মডেলে রূপান্তরিত হয়েছে। দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১২৮ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এবং বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ালি-উর রহমান, আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক খান। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত বলেন, সত্যিকার অর্থে যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এই বিশ্বাসটা কিছু সমালোচক বা আমরা বাদে সারা বিশ্ব কিন্তু একমত হয়েছে। সারা পৃথিবী। বাংলাদেশ এই মহামারীর মধ্যেও কিন্তু উন্নয়নের অব্যাহত রেখেছে। আজকে ইন্ডিয়াতে সাথে সাথে আমাদের যে সমস্ত মিডিয়াতে আমাদের উন্নয়ন নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। এর সবকিছুর ক্রেডিট দেওয়া যায় একমাত্র শেখ হাসিনাকেই। কারণ বিগত ১২ বছর ধরে তার হাতেই রয়েছে দেশ। শেখ হাসিনার ক্ষমতায় আমরা এগ্রিকালচারে একটা বিপ্লব ঘটিয়েছে। বাংলাদেশে যখন দেশে সাত কোটি মানুষ ছিল তখন মানুষ তিন বেলা খেতে পারতো না। আমি ৭০, ৭১ ও তার পরবর্তীকালের সময়ের কথা বলছি। কিন্তু এখন সেই জনসংখ্যার তিন গুনের বেশী হওয়া সর্তেও এখন কিন্তু একজন মানুষও না খেয়ে মারা যাচ্ছেনা। আমাদের দেশে দেশীয় সম্পদ, গার্মেন্টস রপ্তানি ও মানব সম্পদের কারণে যে রেমিটেন্স আসছে সেটার কারণে আমাদের দেশ আজ টিকে আছে। আমাদের দেশের অর্থনীতি যেভাবে চলছে একজন সাধারণ জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি বলতে পারি আল্লাহর রহমতে প্রশংসনীয় কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে। দেশে আজ কিছু ঘটনা ঘটছে যে ঘটনাগুলি সত্যিই আমাদেরকে ব্যথিত করে দুঃখিত করে এবং আমরা সত্যিকার অর্থে মর্মাহত এই সামাজিক অনাচার গুলোর বিরুদ্ধে। কিন্তু আমি সত্যিকার অর্থেই অবাক হয়েছি যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘটনা ঘটার মাত্র ৯৬ঘণ্টার মধ্যে অরডিয়েন্স জারি করে তা রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত স্বাক্ষর করে তিন দিনের মাথায় তা বাস্তবায়ন করে। এটা মাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেই সম্ভব হয়েছে। সারা দেশের মানুষ এটাকে সাধুবাদ জানিয়েছে। আমি মনে করিনা শুধু মাত্র আইন করেই এই ধরনের অপকর্ম কমানো সম্ভব কিন্তু আইন করেই এই ধরনের অপকর্ম দমন করা সহজ এবং এর সাথে সাথে আমাদের মানসিকতাও পরিবর্তন করতে হবে।