প্রকাশ: শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০, ৭:৩৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) পরিচয়ে ৫ লক্ষাধীক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মো. ওসমান ওরফে জাহিদুল ইসলাম ওরফে সহিদ (৩৩) নামের এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক স্থানীয় সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তবে হাতিয়ে নেওয়া টাকার মধ্যে ৩ লাখ টাকা, ৩টি মোবাইল সেট ও ৭টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গ্রেফতারকৃত প্রতারক ময়মনসিংহের ইশ^রগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামের মো. রুশমত আলীর ছেলে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বেশ কিছুদিন ধরে ওসমান নিজেকে কালীগঞ্জ, পূবাইল, টঙ্গী, কোনাবাড়ি ও শ্রীপুরসহ গাজীপুরের বিভিন্ন থানাসহ নরসিংদীর পলাশ থানার ওসি এবং ওসি (তদন্ত) হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিত। ওইসব কর্মকর্তাদের নাম পরিচয় দিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, ধনার্ঢ্য ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মোবাইলে ফোন করতো। নিজের গ্রামের বাড়ীতে নিজ উদ্যোগে একটি মাদ্রাসা নির্মান চলছে সেখানে কিছু টাকা দরকার বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত। আর স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে ওসমান এসব টাকা বিকাশের মাধ্যমে নিতেন।
সূত্র আরো জানায়, সম্প্রতি সে কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শহিদুল ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানীয় পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়লে মোয়াজ্জেম হোসেন সরকারী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওসমানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে কালীগঞ্জ থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি (মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে) ব্যবহার করে বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জিএমপি’র পূবাইল থানার মীরের বাজারের (মাজুখান) রেলক্রসিং এলাকা হতে ওসমানকে গ্রেফতার করে। পরে ওসমানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার স্ত্রী শিরিন আক্তারের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ৩ লাখ টাকাসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ফোন ও ৭টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক জানান, গ্রেফতারকৃত ওসমানের বিরুদ্ধে ১৭০/৪২০/৪০৬ ধারায় মামলা (নং ৭) করা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়।