প্রকাশ: শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০, ৬:৫৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে আবহমান কাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত বৈশ্বিক এ মহামারিকালে সরকারি নির্দেশনা ও জাতীয় পূজা উদযাপন পরিষদের ২৬ দফা নির্দেশনা প্রতিপালন সাপেক্ষে আসন্ন দুর্গোৎসব উদযাপন করতে হবে।
তিনি বলেন, সবার আগে জীবন। জীবন রক্ষা করেই আমাদের সকল প্রকার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।
শনিবার (১০ অক্টোবর) শনিবার শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলায় ৬৭টি পূজা মণ্ডপে ৫ শত কেজি করে মোট ৩৩.৫ মে.টন জি.আর চালের জিও, ননএমপিও শিক্ষকদের অনুদান, গৃহহীনদের ঘরের চাবি বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান রুহুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাশ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা প্রমুখ।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী সরকারের আমলেই মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয়। বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দেশে কোনো কর্মহীন, গৃহহীন, খাদ্যহীন মানুষ থাকবেনা।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের সুব্যবস্থাপনার ফলেই মহামারিকালেও দেশের বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। চলমান সামাজিক সমস্যা বিষয়ে তিনি বলেন, কুলাঙ্গার ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। মৌলভীবাজারবাসীও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে প্রদত্ত ননএমপিও কারিগরি মাদ্রাসা ও স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার ৩৯ জন শিক্ষক- কর্মচারীর অনুকূলে মোট ১,৯০,০০০ টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ১১জন শিক্ষার্থীদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে হুইল চেয়ার, চশমা ও শ্রবণযন্ত্রসহ এসিসটিভ ডিভাইস এবং মোট ৩০০ জন দুঃস্থ ব্যক্তিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণের শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়িত ৪ টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৯৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩৩ টি পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।