সরকারী কর্মকর্তা অফিস না করেই নিজের ব্যক্তিগত কাজে মহা ব্যস্ত । দীর্ঘদিন ধরে নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত কর্মকর্তা।তাই সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ। বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোস্তাফা জামানের এমন কর্মকান্ডে জেলা সমবায় কর্মকর্তা অধীনস্থ কর্মকর্তা বিষয়ে উদাসীন। অনুপস্থিতির কথা জেনেও নেই কোন পদক্ষেপ। উর্দ্ধতন অফিসারের সাথে সুসর্ম্পক থাকায় মাসের পর মাস এভাবেই চলছে উপজেলা সমবায় অফিস।
সেবাপ্রাপ্তির তথ্য মতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ( ৮ সেপ্টেম্বর ) সকাল ১১ টার দিকে আলীকদম সমবায় অফিসে গেলেও সমবায় অফিসারের কক্ষে তালা দেওয়া। সমবায় অফিসারের দেখা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন সেবা প্রাপ্তিরা। এক অফিসের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,বিশেষ কোন কারণ ছাড়া সমবায় কর্তা কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন না।এটি শুধু একদিন না প্রতিমাসে হয়।
সেবা নিতে আসা শফিকুল ইসলাম,আব্দুর রহমান বলেন, আমরা এক সপ্তাহ ধরে উক্ত সমবায় অফিসে আসলেও সমবায় অফিসারের দেখা পাইনা। যতবারই আসি ততবারই শুনি উনি অফিসের কাজে বাইরে গেছেন। তারা আরও বলেন, প্রতিমাসে দুয়েকদিন ছাড়া বাকিটা সময় উনার অফিস বন্ধ থাকে।
আলীকদম উপজেলা সমবায় অফিসার মোস্তাফা জামান মুটোফোনে জানান,অফিসের কাজে জেলা অফিসে আছি।অফিসের কাজে বান্দরবান গেছেন,জেলা সমবায় অফিসার জানিয়েছেন,জেলা অফিসে আপনার কোন কাজ নেই? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বান্দরবান বিআরটিসি অফিসে আসছি। গাড়ীর কাগজপত্র নিতে। এটিও অফিসের কাজ। সরাসরি এসে কথা বলব,মুটোফোনে সব কথা বলা সম্ভব না বলে মুটোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
এবিষয়ে বান্দরবান জেলা সমবায় অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমা বেগম জানান, দেখছি কোথায় আছে বলে ফোনকল কেটে দেন। পরে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করলে কথা বলা সম্ভব হয় নি। বৃহস্পতিবার বিকালে মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,আলীকদম সমবায় অফিসার সমিতি পরিদর্শনে গেছেন। অফিসার কর্মস্থলে আছেন কি নেই সেটি আমরা দেখব।তিনি আরও জানান,যা বলার বলেছি,এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে পারব না।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সায়েদ ইকবাল জানান,বিষয়টি সর্ম্পকে জানা ছিল না।বিষয়টি তিনি দেখবেন।