প্রকাশ: শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০, ২:৪৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মাদারীপুর শহরের ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের উপস্থিতিতে দুই লাখ টাকায় মীমাংসা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় সদর থানার এসআই জহুরুল ইসলাম শালিস মীমাংসায় উপস্থিত থাকায় তাকে শনিবার সকালে ক্লোজড করা হয়েছে। অন্যদিকে ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসপাতালে তদন্ত চলাকালীন দুই চিকিৎসকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে মাদারীপুরের ডাসার থানার আটিপাড়া গ্রামের রুনা আক্তারকে (২২) ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এ সময় চিকিৎসকের অবহেলায় ওই প্রসূতি মারা যান। এই ঘটনায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সদর থানার এসআই জহুরুল ইসলাম, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির, শেয়ার মালিক জাকির দর্জি, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নেতা ইলিয়াস হাওলাদারসহ প্রভাবশালী একটি মহল দুই লাখ টাকার বিনিময় বিষয়টি মীমাংসা করে।
এই ঘটনায় পুলিশের উপস্থিতি থাকায় শনিবার সকালে এসআই জহুরুল ইসলামকে ক্লোজড করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর সদর সার্কের সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন।
অন্যদিকে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফায়সাল কাবীর ও ডা. ফারজানা আফিয়া মেঘলাকে তদন্তকালীন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, মীমাংসার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে স্পষ্টভাবে জানি না। এই মীমাংসার সময় পুলিশের এসআই জহুরুল ইসলাম উপস্থিত থাকার বিষয়টিও জেনেছি। পরে পুলিশ সুপার তাকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেছেন। এর বাইরে তেমন কিছু জানি না। ’
অন্যদিকে ডিজিটাল অ্যাপোলো হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘আমরা ওই নিহত পরিবারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করেছি। এখন তাদের আমাদের বিষয় কোনো অভিযোগ নেই। তবে চিকিৎসায় ভুল ছিল কি-না, তা খতিয়ে দেখার জন্য ওই সময়ে কর্তব্যরত দুই চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ’
সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মীমাংসার বিষয় আমি জানি না। তবে ওই হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়নের বিষয় অনলাইনে জমা দেয়া আছে। আর গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত করে দেখব। ’
ভোরের পাতা/এএম