মিজান-বাছিরের মামলায় আরও দু’জনের সাক্ষ্য
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২০, ১:৩৩ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক :পুলিশের সাবেক উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের মামলায় আরও দু’জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন- দুদকের সহকারী পরিচালক আজিজুল হক ও দুদকের কনস্টেবল আলীমুজ্জামান শেখ। গতকাল বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ শেখ নাজমুল আলমের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা। এরপর তাদের জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান ও এহসানুল হক সমাজী। বিচারক পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হল।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা গত ১৯ জানুয়ারি ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। সেখানে বলা হয়, ‘অবৈধভাবে সুযোগ প্রদানের হীন উদ্দেশে’ এনামুল বাছির ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। আর ডিআইজি মিজান সম্পর্কে অভিযোগপত্রে বলা হয়, তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আশায় দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেন। ওই ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে গত বছরের ১৬ জুলাই ফানাফিল্যা মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
গত ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় গত বছরের জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মিজানকে। এর চার মাস পর তার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক; এক হাত ঘুরে সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান কমিশনের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। সেই অনুসন্ধান চলার মধ্যেই ডিআইজি মিজান গত ৮ জুন দাবি করেন, তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা বাছির। এর সপক্ষে তাদের কথপোকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপ একটি টেলিভিশনকে দেন তিনি। ওই অডিও প্রচার হওয়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা। অভিযোগটি অস্বীকার করে বাছির তখন দাবি করেন, তার কণ্ঠ নকল করে ডিআইজি মিজান কিছু ‘বানোয়াট’ রেকর্ড একটি টেলিভিশনকে সরবরাহ করেছেন। অন্যদিকে ডিআইজি মিজান বলেন, সব জেনেশুনেই তিনি কাজটি করেছেন ‘বাধ্য হয়ে’। ঘুষের অভিযোগ ওঠার পর তাদের দু’জনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে দুদকের একটি দল। আরেক মামলায় গ্রেফতার ডিআইজি মিজানকেও পরে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।