নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক: সিএমএসডির দুই কর্মকর্তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২০, ১:৩৩ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদকদুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে সাত আসামির মধ্যে আগাম জামিনের আবেদনকারী কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) দুই কর্মকর্তাকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, আসামিদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) উপ পরিচালক ডা. জাকির হোসেন ও সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট তাদেরকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সহকারী পরিচালক (স্টোরেজ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ডা. শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিকেল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএল ভোগরত) কবির আহমেদ এবং জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ এই সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন দুদকের উপ পরিচালক মো. নুরুল হুদা। ওই দিনই সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান রাজ্জাককে গ্রেফতার করে এর মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে দুদক। দেশে নতুন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গত মার্চে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য সিএমএসডি ৫০ লাখ এন-৯৫ মাস্কের কার্যাদেশ জেএমআই হাসপাতাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডকে দিয়েছিল ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। তার মধ্যে ২০ হাজার ৬১০টি মাস্ক সরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ স্বাস্থ্যখাতের ১০ প্রতিষ্ঠানে বিতরণের পর সেগুলো নকল বলে চিহ্নিত হয়।