শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
৩২ বছর ধরে অনিষ্পন্ন মামলা ৩ মাসে নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২০, ১:৩৩ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ

আদালত প্রতিবেদকপ্রায় ৩২ বছর ধরে অনিষ্পন্ন একটি হত্যা মামলা ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জাতীয় একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইসরাত হাসান। আইনজীবী ইসরাত হাসান জানান, আদালত তিন মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন। এই সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করে সংশ্লিষ্টকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে হাইকোর্টে। মামলা নিষ্পত্তি করতে না পারলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই আইনজীবী বলেন, এ মামলাটি সীমা হত্যা মামলা। বর্তমানে ঢাকার জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক চমন বেগম চৌধুরীর আদালতে বিচারাধীন। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. মো. আনোয়ার হোসেনের সাক্ষ্য না দেওয়ার কারণে মামলাটি ৩২ বছর ধরে ঝুলে আছে। রাজধানীর পুরান ঢাকার জগন্নাথ সাহা রোডে ১৯৮৮ সালের ২৬ এপ্রিল খুন হন সীমা মোহাম্মদী (২০)। বাড়িতে ঢুকে ছুরিকাঘাত করে সীমাকে হত্যা করে মোহাম্মদ আহমদ ওরফে আমিন নামে এক যুবক। ঘটনার পর পরই ওই যুবকের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন সীমার মা ইজহার মোহাম্মদী। দুই মাস পর ২৫ জুন পলাতক আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে সীমাকে বিয়ে করতে না পেরে সে এ হত্যাকা- ঘটায়। আদালত থেকে আসামিকে হাজিরের জন্য ১৯৯৯ সালের ২২ জুন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

২০০১ সালের ২৯ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের পরও সাক্ষ্য দিতে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের অনীহার কারণে মামলার বিচারকাজ বারবার পিছিয়ে যায়। অজামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের তৎকালীন প্রভাষক আনোয়ার হোসেন সাক্ষ্য দিতে অদ্যাবধি আদালতে হাজির হননি। ওই চিকিৎসককে এ পর্যন্ত অর্ধশত অজামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠানো হয়েছে। ইসরাত হাসান বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এ পর্যন্ত মামলার তারিখ পড়েছে ১১২ বার। ১১ জন বিচারক বদল হয়েছেন। সরকার পাল্টেছে ১০ বার। মামলার একমাত্র আসামি আমিন এখনও পলাতক। ইসরাত হাসান বলেন, মামলার বাদী সীমার মা বিচারের অপেক্ষায় থেকে শেষ পর্যন্ত মারা গেছেন। বাবারও মৃত্যু হয়েছে। এখন মামলাটির বিচার সম্পন্ন হলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। এতে করে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পাবে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]