প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২০, ১:৩৩ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, খাল, ডোবা-নালা অপরিষ্কার পাওয়া গেলে ২০ অক্টোবর থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি গতকাল বুধবার রাজধানীর মিরপুরের দক্ষিণ বিশিলে গোদাখালী খাল পরিষ্কার কার্যক্রম ও খাল থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন মালামাল পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, ‘যেভাবে এডিস মশা থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি এবং জরিমানা করেছি, একইভাবে আসন্ন শীত মৌসুমে নগরবাসীকে কিউলেক্স মশা থেকে সুরক্ষা দিতে আগামী ২০ তারিখ থেকে আমরা ডিএনসিসি এলাকার খাল, ডোবা-নালা ইত্যাদি পরিদর্শন করবো। সেই খাল, ডোবা-নালা পরিষ্কার অবস্থায় পাওয়া না গেলে আমরা ‘ফাইন’ করবো। সরকারি, বেসরকারি কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন যে কোনো সংস্থাই হোক না কেন, তাকে ফাইন করা হবে। আমি সেই সংস্থা বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। কারণ খাল কচুরিপানাপূর্ণ বা অপরিষ্কার থাকলে সেখানে মশা বংশবিস্তার করে। তাই বিনয়ের সাথে অনুরোধ করবো, সকল সংস্থা, সরকারি-বেসরকারি এবং ব্যক্তি সবাই এগিয়ে আসুন, সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়, সবাই মিলে এগিয়ে আসলে তাহলেই সম্ভব।’ খাল থেকে প্রাপ্ত মালামাল প্রদর্শনী সম্পর্কে মেয়র বলেন, কিছুদিন ধরে ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন খাল ও লেক পরিষ্কার করা হচ্ছে। এই খালগুলো থেকে কী কী পাচ্ছি, এখানে তার কিছু নমুনা এই প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন খাল থেকে শতাধিক জাজিম, কয়েক ডজন সোফা, টেলিভিশনের খোলস, ভাঙা ফ্রিজ, সুটকেস, বালিশ, ২০০ ট্রাক ডাবের খোসা পাওয়া গেছে। কিন্তু এটা কেন? আমরা কবে এই শহরকে ভালোবাসবো? আমি বারবার বলছি, একটু বৃষ্টি হলেই খাল ভরে যায় এবং ‘ওভারফ্লো’ করে, জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। অথচ আমাদের ড্রেনের পানি খালে এবং খাল থেকে পানি নদীতে যাওয়ার কথা। এজন্যই আমি আজ আপনাদের বলেছি আপনারা এই প্রদর্শনীতে আসুন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, বিদেশে খালগুলো ব্যবহার করে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট লাইন হচ্ছে। অথচ এটা খুব দুঃখজনক আমাদের খালগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে, খালের উপর বাড়ি, মাঠ হচ্ছে। এই খাল নিয়ে সবাই ব্যবসা করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা খাল পরিষ্কার করছি, কিন্তু খাল পরিষ্কার করার কথা আমাদের ছিল না। খাল পরিষ্কার করার কথা অন্য একটি সংস্থার। তারপরও আমরা, আমাদের কাউন্সিলররা মনে করেছি সবাই মিলে খাল পরিষ্কার করতে হবে। তাই আমি কোনো দিকে না তাকিয়ে, আমাদের এলাকার খাল আমরা কারো জন্য বসে না থেকে নিজেরা পরিষ্কার করছি। আমি দুই হাত তুলে জনগণের কাছে বলছি, আপনারা খাল দখল করবেন না, খালের মধ্যে ময়লা ফেলবেন না। যুব সমাজকে অনুরোধ করবো, আপনারা সোচ্চার হোন, প্রত্যেকে যার-যার এলাকার খালের দায়িত্ব নেন। স্বেচ্ছাসেবকরা এগিয়ে আসুন। উল্লেখ্য, ডিএনসিসি কর্তৃক বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন ১৬টি খাল ও লেক চলতি মাসের মধ্যে পরিষ্কার কাজ সম্পন্ন হবে। প্রতিদিন ৫১০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী পরিষ্কার কাজে নিয়োজিত আছে। পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে স্থপতি ইকবাল হাবিব ও ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।