প্রকাশ: বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০, ৮:৩৯ পিএম আপডেট: ০৭.১০.২০২০ ৮:৪১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন আজ চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর উপর একটি রেল-কাম সড়কসেতু নির্মাণ স্থান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তিনি জানান আগামী বছরের প্রথমদিকে কোরিয়ান সরকারের অর্থায়নে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সেতু নির্মিত হবে যেখানে রেলপথ এবং রোড একসাথে থাকবে।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই সেতুটি আগেই নির্মাণ করা যেত। একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল যেখানে আলাদা রেলসেতু হবে নাকি রেল ও সড়ক একসাথে হবে। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেল-কাম রোড সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিদেশি ঋণদানকারী সংস্থা কোরিয়ান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) এর সাথে আলোচনা হচ্ছে। সবকিছু এখন ঠিক করা হয়েছে, আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ এর মধ্যে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে। সেতু নির্মাণের ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে, স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখার জন্যই আমি এসেছি।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামবাসীর জন্য যেমন এ সেতুটি খুবই দরকার তেমনি ভবিষ্যতে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি রেললাইন সংযোগ স্থাপনের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা অতীব জরুরী। ২০২২ সালের মধ্যে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন চালু হয়ে যাবে। একই সময়ের মধ্যে যাতে সেতুটির নির্মাণ শেষ করা যায় সে চেষ্টা আমরা করব। বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন গরিব-দুঃখী মেহনতী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর দর্শন নিয়ে কাজ করছে। আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করা। এ অঞ্চলের মানুষের কষ্ট লাঘব হবে সেতু নির্মিত হলে।
মন্ত্রীর পরিদর্শনের সময় চট্টগ্রাম ৮ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোসলেম উদ্দিন এমপি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রণব কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান সহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, যে কালুরঘাট সেতুটি ১৯৩১ সালে মিটার গেজ লাইন বিশিষ্ট রেল সেতু হিসেবে নির্মিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে সড়ক সেতু যুক্ত করে রেল- কাম সড়ক সেতুতে রূপান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেতুটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
এটি নির্মিত হলে নিরবচ্ছিন্ন রেল পরিবহন সেবা নিশ্চিত করা যাবে এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার করিডোরের অপারেশনাল বাধা দূর করা যাবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নত করা এবং আঞ্চলিক বিনিময় সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য বৃহত্তর করিডর তৈরি হবে, বাণিজ্যিক রাজধানীর যানজট হ্রাস পাবে, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশবিশেষ হিসেবে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।