প্রকাশ: বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০, ৬:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ বার্থী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র দীর্ঘ দিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় মূল ভবনের ছাদ ও বারান্দা ধসে পরেছে। ভেঙ্গে গেছে দরজা ও জানালার গ্লাস। ফলে ভূতরে ভবনে পরিণত হয়েছে এ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি। এ ছাড়া দীর্ঘ দিন যাবত মেডিকেল অফিসার, ফার্মাসিস্টসহ ৩জন পরিবার কল্যাণ সহকারী না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে মহিলাদের প্রসব পূর্ব সেবাসহ সকল প্রকার স্বাস্থ্য সেবা। নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি নিজেই অসুস্থ। এলাকাবাসী জরুরি ভিত্তিতে এসব সমস্যার সমাধান করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিকট।
জানা গেছে, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পার্শ্বে গৌরনদী উপজেলার বার্থী বাজার এলাকায় ১৯৮৯ সালে বার্থী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির কার্যক্রম শুরু হয়। র্কাক্রমের পর থেকে বার্থী, খাঞ্জাপুর এবং রাজিহার ইউনিয়নের এক অংশের জনসাধারনদের প্রতিদিন স্বাস্থ্য শিক্ষা, প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা, সাধারন গর্ভবতী ও শিশু চিকিৎসা, গর্ভোত্তর প্রসব, পরিবার পরিকল্পনা প্রদান সেবা প্রদান করে আসছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি দীর্ঘ দিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় মূল ভবনের ছাদ ও বারান্দা প্লাস্টার ধসে পরেছে। ভেঙ্গে গেছে দরজা ও জানালার গ্লাস। ফলে ভূতরে ভবনে পরিণত হয়েছে এ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি।
পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা শিরিনা মমতাজ বলেন, জরুরি স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির আবাসিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমি ও উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন স্যার বসবাস করে আসছিলাম। গত বছর অক্টোবর মাসে আবাসিকের একাংশের ছাদ ধসে পড়ায় আমরা অন্যত্র বসবাস করছি। পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক সুমন চন্দ্র দাস জানান, দীর্ঘ দিন যাবত মেডিকেল অফিসার, ফার্মাসিস্টসহ ৩জন পরিবার কল্যাণ সহকারী না থাকায় স্বাস্থ্য সেবা ব্যহৃত হচ্ছে। আগত রোগী জেসমিন বেগম বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে আবাসিকে ডাক্তার ও এফডব্লিউভি বসবাস না করায় রাতের বেলা প্রসুতিসহ জরুরি রোগীরা সেবা পাচ্ছিনা। ফলে রাতে জরুরি প্রসতিসহ জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন রোগী। এ কেন্দ্রে একজন এমবিবিএস ডাক্তার নিয়োগ দিলেও গ্রামাঞ্চল হওয়ায় যোগদানের পর নানা কৌশলে বদলি কিংবা প্রেষণে অন্যত্র চলে যায়। ফলে ডাক্তার এবং প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
বার্থী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রর উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, জরার্জীন ভবন ও জনবল সংকটের ব্যাপারে একাধিকবার লিখিত ভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানানো হয়েছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহ মোঃ আব্দুল হান্নান জরার্জীন ভবন ও জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, ভবন পুনঃ নিমার্নের জন্য বরদ্দ চাওয়া হযেছে। আগামি অর্থ বছরে বরাদ্দ সাপেক্ষে ভবনের পুনঃ নির্মাণ করা হবে।