প্রকাশ: বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০, ৫:৪২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলায় ভোজেশ্বর কীর্তিনাশা নদীতে গত ২ বছরেও গার্ডার ব্রীজের সংযোগ সড়ক নির্মান না করায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও কৃষিপন্য সরবারাহ সহ ৪টি ইউনিয়নের মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে
শরীয়তপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বৃহত্তর ফরিদপুর গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-ফেস-১ আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর- মহিষখোলা সড়কে ৬ শত মিটার চেইনেজের ৯৯ মিটার পিসি গার্ডার ব্রীজ ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মান করা হয়েছে। ২ বছর আগে ব্রীজটি নির্মান করা হলেও এখনো সংযোগ সড়ক নির্মান করা হয়নি। ব্রীজটি নির্মান কাজ করেন কামার জানি জয়েনভেঞ্জার-আনোয়ারা কনস্ট্রাশন লি: নামে দুইটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ।
ব্রীজটির দুপার্শ্বে (এপ্রোজ) সংযোগ সড়ক না করার কারনে এলাকাবাসি ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করতে পারছেন না।এলাকার স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী সহ কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপন্য সবরাহ নিয়ে পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
তারা জীবনের ঝুকি নিয়ে (খেয়া) নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে বিভিন্ন সময় দুঘর্টনার কবলে পড়তে হয় তাদের। আবার সন্ধ্যার পরে খেয়া অনেক সময় পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও গুনতে হয় দ্বিগুন টাকা।
ভোজেশ্বর বন্দরে সঙ্গে জপসা, নশাসন, রাজনগর, মোক্তারের চর ইউনিয়নের যোগাযোগের জন্য কীর্তিনাশা নদীর উপর নির্মান করা সেতুটি কোন কাজে আসছে না। এত দুর্ভোগ আরো বেড়ে গেছে অর্ধশত গ্রামের বাসিন্দদের।
ভোজেশ্বর বাজারের ব্যবসায়ী হাসনাত মল্লিক বলেন, আমাদের ভোজেশ্বর বাজারে লোকজন তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য সামগ্রী অনেক কষ্ট করে খেয়া পার হয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে এই বাজারে আনে। তাদের অনেক ভোগন্তি হয়। ব্রীজটি চালু হলে লাখ লাখ লোকের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
শরীয়তপুর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী, মোঃ শাজাহান ফরাজী বলেন, সংযোগ সড়ক নির্মানের জন্য জমি অধিগ্রহনের যে সমস্যা ছিল, সেটি ইতোমধ্যে সমাধান হয়ে গেছে। ব্রীজটিতে নতুন প্রযুক্তি দিয়ে কাজ করা হবে। বর্তমানে বন্যার কারনে সংযোগ সড়ক নির্মানের কাজে বিলম্বিত হচ্ছে।