প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১:২০ এএম আপডেট: ২৯.০৯.২০২০ ১:১৩ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
টিকটক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দৃশ্যত ধাক্কা খেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত রোববার ওয়াশিংটনের একটি আদালত জানিয়ে দিয়েছে, মার্কিন নাগরিকদের জন্য টিকটক ডাউনলোডের সুযোগ এখনই বন্ধ করে দেওয়া যাবে না।সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে মার্কিন নাগরিকদের ফোনে টিকটক আর ডাউনলোড করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। অবশ্য একইসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, টিকটক যদি কোনও মার্কিন সংস্থা কিনে নেয়, তা হলে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে। এই মাসেই টিকটকের মার্কিন শেয়ার কিনে নিয়েছে ওরাকল। কিন্তু যেভাবে তারা এটি কিনেছে, তা নিয়ে এখনও মার্কিন প্রশাসন সন্তুষ্ট নয় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের আগের সিদ্ধান্ত এখনও বদলায়নি। ফলে রোববারই যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ডাউনলোড বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টিকটক প্রস্তুতকারক সংস্থা মার্কিন আদালতের শরণাপন্ন হয়। সংস্থাটির দাবি, ডাউনলোড বন্ধ হয়ে গেলে তারা বিপুল ক্ষতির মুখে পড়বে। এতো বিশাল ক্ষতি সামাল দেওয়ার সাধ্য তাদের নেই। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে টিকটক ডাউনলোডের সুযোগ আপাতত বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় না এলে আগামী ১২ নভেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক পুরোপুরি নিষিদ্ধের ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত এখনও বহাল রয়েছে।
এ ব্যাপারে আদালত ভিন্ন কোনও নির্দেশনা দেননি।টিকটকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের ১০ কোটি গ্রাহক রয়েছে। তারা এই প্ল্যাটফর্মটিকে ভালোবাসেন। কেননা, এটি বিনোদন, মতপ্রকাশ এবং সংযোগের একটি স্থান। নির্মাতাদের জন্য অর্থ ও তাদের পরিবারে খুশি নিয়ে আসার জন্য কাজ অব্যাহত রাখা এবং তাদের গোপনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে টিকটক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।টিকটকের বৈশ্বিক ব্যবসার সূচনা ২০১৮ সালে। এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশ দ্রুত বেড়েছে। যাদের বয়স ২৫-বছরের নিচে তাদের মধ্যে টিকটকের বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে।
টিকটক-এর ঝুঁকি :ট্রাম্প মনে করেন টিকটকের মালিক চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। আর সেটা এড়াতে চাইলে কোনও মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কাছে টিকটিক বিক্রির আল্টিমেটাম দেয় হোয়াইট হাউস।হোয়াইট হাউসের অভিযোগ, চীনা এই কোম্পানিটি তার ৮০ কোটি ব্যবহারকারীর কাছ থেকে নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের গ্রাহক সংখ্যা ১০ কোটি। ট্রাম্প প্রশাসনের আশঙ্কা, এই গ্রাহকদের কাছ থেকে চীন নানা তথ্য হাতিয়ে নিয়ে সেটি হীন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে।বেইজিং অবশ্য বরাবরই চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর চৌর্যবৃত্তির ব্যাপারে মার্কিন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা বলছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণ বাণিজ্যিক নয়; বরং এটি রাজনৈতিক।মার্কিন কোম্পানির কাছে ব্যবসার একাংশ বিক্রির প্রশ্নে বাইটড্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইমিন নিজেও সমালোচনার শিকার হয়েছেন। কোম্পানির চীনা স্টাফদের কাছে এক চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ব্যবসা ধরে রাখার আর কোনও উপায় ছিল না।