ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার দখলকৃত পার্কগুলো দখলমুক্ত করতে আগামী ৩ অক্টোবর থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনে পার্ক দখলমুক্তির অঙ্গীকার জানিয়েছেন উত্তর সিটি মেয়র।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশান ২ নম্বর বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে ডিএনসিসির আয়োজিত দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, 'অবৈধভাবে দখল করে রাখা পার্কগুলোতে আগামী মাসের ৩ তারিখ থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে, উচ্ছেদ করে জনগণের পার্ক জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হবে - এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিনের অঙ্গীকার।'
আতিক আরও বলেন, 'যারা রাস্তা, ফুটপাত দখল করে আছেন, তারা এই অবৈধ মনোভাব ছেড়ে দিন। বঙ্গবন্ধু দেশকে ভালোবেসেছেন, দেশের মানুষকে ভালোবেসেছেন। লাল-সবুজের পতাকার জন্য তিনি সারাজীবন জেলে ছিলেন। জাতির জনকের সেই চিন্তা-ভাবনা যদি ধরে রাখতে পারতাম, তাহলে আমাদেরকে বুলডোজার দিয়ে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিতে হতো না।'
মেয়র বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে এতে কোনো আড়ম্বর নাই, কেক কাটা নাই, বরং সাদামাটা, অনাড়ম্বর অথচ তাৎপর্যময় এই কর্মসূচি। ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডেও অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।'
শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে চিত্রাঙ্কনের আয়োজন করা হয়েছে। এই চিত্রাঙ্কনে অংশ নিচ্ছে আমাদেরই অর্থাৎ ডিএনসিসি পরিবারের ৭৪ জন শিশু-কিশোররা। এই শিশু-কিশোরদের বাবা-মায়েরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কর্মরত। এই পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ভোর হওয়ার আগেই শহরকে ঝকঝকে তকতকে করে রাখে। আমরা শহরকে নোংরা করি, আর তারা আমাদের ফেলে দেওয়া ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে শহরকে বাসযোগ্য করে তোলে। এখানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরাও ছবি আকবে। সবাইকে নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শহর ‘সবার জন্য সবার ঢাকা’ গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। শিশু-কিশোরদের সাথে সাথে ছবি আঁকবেন দেশের বরেণ্য চিত্রশিল্পীগণ। তাদের কাছে শিশুরা ছবি আঁকা দেখবেন, শিখবেন। এ যেন গুরু-শিষ্যেরও এক পরম্পরা।'
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, আসাদুজ্জামান নূর, এ কে এম রহমত উল্লাহ, সুবর্ণা মোস্তফা, নাহিদ ইজাহার খান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা উপস্থিত ছিলেন।