নিজস্ব প্রতিবেদকরাজধানীর গুলশানে হিজামা থেরাপি সেন্টার অ্যান্ড বডি ম্যাসেজের অভিযানে গ্রেফতার প্রতিষ্ঠানটির মালিক রাজিয়া খাতুন ওরফে ফারিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম মিল্লাত হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন। এদিন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার ইমরান খানের জামিন আবেদনও খারিজ করে দেন আদালত। এর আগে রিমান্ড শেষে তাদের দু’জনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই মশিউর রহমান তাদের কারাগারে আটকে রাখার জন্য আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে আদালত তাদের দু’জনের জামিনের আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালত তাদের দু’জনকে এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া এ মামলার বাকি ৮ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারা হলেন- মো. আল আমিন, রাকিবুল হাসান, আল আমিন, মুহিদ আলী মিঠু, হোসনে আরা খাতুন, লিলি, গীতি দেউরী ও জয়া চাম্বু।
জানা যায়, গুলশান থানাধীন নাভানা টাওয়ারে হিজামা থেরাপি সেন্টার অ্যান্ড বডি ম্যাসেজ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উঠতি বয়সের যুবতী ও মহিলাদের একত্রিত করে অবৈধ দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে যৌন শোষণ ও নিপীড়নমূলক কাজ পরিচালনা করে আসছে। গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত এবং পতিতাবৃত্তির জন্য প্রস্তুত রাখা অবস্থায় আসামিদের আটক করা হয়। তারা পতিতাবৃত্তির কথা স্বীকার করে। ফারিয়া এবং ইমরান স্পা সেন্টারটিকে মিনি পতিতালয় হিসেবে ব্যবহার করে অনৈতিক কাজে পরিচালনা করে আসছিলেন। এ ঘটনায় গুলশান থানার এসআই মশিউর রহমান ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।