প্রকাশ: শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:১৫ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
সৌদি আরবও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।মার্কিন প্রেসিডেন্ট আশাবাদ জানিয়ে বলেন, সাত থেকে ৯টি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করবে। এর মধ্যে সৌদি আরবও রয়েছে।ট্রাম্প জানান, মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশই ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করতে আগ্রহী।ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি জানিয়েছে, এ বিষয়ে সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। ট্রাম্প নিজেও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বাদশা সালমানের ফোনালাপের পর ট্রাম্প বলেন, এ বিষয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যথাযথ সময়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে।তিনি জানান, খুব শিগগিরই অন্তত ৯টি দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে। যুদ্ধরত (ইসরায়েলের বিরুদ্ধে) দেশ হলেও তারা লড়াই করতে করতে ক্লান্ত। এই দেশগুলো এখন শান্তি চায়। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ লড়াই করেছে। আপনারা খুব দুর্দান্ত কিছু দেখতে যাচ্ছেন। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসতে চলেছে।এদিকে মার্কিন চাপ সত্ত্বেও ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনে অস্বীকৃতি জানিয়েছে কাতার। দখলদারিত্বের মধ্যে বসবাস করা ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের তাগিদ দিয়েছে দেশটি।কাতারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ললওয়াহ আল-খাতের বলেন, আমরা মনে করি না এই সংকটের মূলে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ রয়েছে। তাই এই উদ্যোগ সংকটের সমাধান হতে পারে না।
এদিকে সৌদি বলয়ের আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের মধ্যেই ফিলিস্তিনে তান্ডব অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের একদিন আগে জেরুজালেমের একটি মসজিদ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। আর চুক্তি স্বাক্ষরের দিনই বোমা হামলা চালানো হয় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়।দখলদার বাহিনীর যে কোনও আগ্রাসনের সরাসরি জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। দলটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যে কোনও আগ্রাসনের মূল্য দিতে হবে। আর এর জবাব হবে সরাসরি।’