প্রকাশ: শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১:৪৫ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
তানজিন তিশা। নতুন স্বাভাবিক নিয়ম মেনে শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন তিনি। এরইমধ্যে শেষ করেছেন ওয়েব সিরিজ ‘শিকল’। দীর্ঘ কয়েক মাসের বিরতি দিয়ে নতুন করে কাজ অভিজ্ঞতা ও নানা বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে...শুটিং শুরু করলেন কবে থেকে?
গত মাস থেকে। ঈদুল আজহার পরপরই নিয়মিত শুটিং শুরু করেছি। তবে একটানা কাজ করছি না। একটু করে বিরতি নিয়ে কাজ করছি। চেষ্টা করছি করোনার মধ্যে কাজ করলেও নিজেকে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখতে।
এত সময় নিলেন কেন?
ঈদুল আজহার আগে আগে আমার সহশিল্পীদের প্রায় সবাই শুটিং শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাসায় আমার বাবার শরীর একটু খারাপ ছিল। তাই তার ও পরিবারের বাকিদের কথা ভেবে আমি তখন আর কাজে যোগ দিইনি। ঈদের কাছাকাছি সময়ে দেখলাম বাসায় থেকে উৎসবের কোনো আমেজ পাচ্ছি না। খুব ইচ্ছা করছিল ঈদের দুএকটা কাজ করি। তাই সব ধরনের সতর্কতা মেনে তখন দুটো কাজ করি ‘ভুল এই শহরের মধ্যবিত্তদেরই ছিল’ আর ‘ফোরটিন ডেজ’। এই দুটো কাজ থেকে যে পরিমাণ সাড়া পেয়েছি, তাতে আগের বছরগুলোর মতো ঈদে বেশি বেশি নাটক বা টেলিছবি না করার আফসোস কেটে গেছে। তা ছাড়া বেশ আগে শুটিং করা ‘পলিটিকস’ নাটকটিও এই ঈদে প্রচারিত হয়।
কাজের সংখ্যা কমে যাওয়ায় আপনার ভক্তরা হতাশ হচ্ছেন না?
মনে হয় না। এ বছর আমার একটি ভুল ধারণা ভেঙে গেছে। আমি ‘ভুল এই শহরের মধ্যবিত্তদেরই ছিল’ নাটকে অভিনয় করায় অনেক দর্শকের ফোন আর বার্তা পেয়েছি। তারা প্রশংসা করেছেন, সোশাল মিডিয়াতে এসব নিয়ে লিখেছেন। মাত্র দুটি নাটকে কাজ করে এত দর্শকের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ব্যাপারটা আমাকে নতুন করে ভাবিয়েছে। এখন বুঝতে পারছি, অনেক অনেক নাটকে অভিনয় করলেই যে দর্শকের কাছে পৌঁছানো যায়, তা ঠিক নয়। ভালো নাটক একটি বা দুটিই যথেষ্ট, সেটাই শিল্পীকে দর্শকের কাছে নিয়ে যেতে পারে।
আপনি প্রথমবার ওয়েব সিরিজে কাজ করলেন। অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
‘শিকল’ নামের ওয়েব সিরিজটির গল্প নারীকেন্দ্রিক। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম ‘নন্দিনী’। আমি এ চরিত্রেই অভিনয় করেছি। স্ক্রিপ্ট পড়ামাত্র মনে হয়েছে নন্দিনী একজন অভিনেত্রীর জীবনের স্বপ্নের চরিত্র। তাই সুযোগটা পেয়েই রাজি হয়ে যাই। এই এক নন্দিনীর ভেতর ছয়-সাতটি রূপ, যা অল্প সময়ের মধ্যে নিজের ভেতর ধারণ করা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমার তিন বছরের অভিনয়জীবনের সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল এটি। নন্দিনী হয়ে ওঠার জন্য আমাকে একই সঙ্গে অনেকগুলো চরিত্রের ভেতর ঢুকতে হয়েছে। এতগুলো রূপ ফুটিয়ে তোলা সহজ কথা নয়। শুটিংয়ের দুদিনের মাথায় আমি পুরো নন্দিনী হয়ে গিয়েছিলাম। সিরিজটি শেষ করে অন্য কাজে ঢুকতে গিয়ে বিপদেই পড়ে গেলাম। কারণ, আমি নতুন চরিত্রে ঢুকতে পারছিলাম না, তখনো নন্দিনীতেই আটকে ছিলাম।
এখন থেকে কি নিয়মিত ওয়েবে কাজ করবেন?
সামনে বেশির ভাগ প্রযোজনাই ওয়েবকেন্দ্রিক হয়ে যাবে। সুতরাং ভালো গল্প ও ভালো পরিচালকের কাছ থেকে প্রস্তাব পেলে নিয়মিতই ওয়েবে কাজ করব।