এমসি কলেজে গণধর্ষণ: অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীদের ধরতে অভিযান, রুম থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-রামদা উদ্ধার
প্রকাশ: শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:২৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনার পর ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে কলেজের ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ছিল একটি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি রামদা, একটি ছোরা ও দুটি লোহার পাইপ।
শাহপরান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাতে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অস্ত্র মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন এমসি কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী ও কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, এম সাইফুর রহমান, অর্জুন, রাজন আহমদ এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ।
তাদের মধ্যে সাইফুর রহমানের গ্রামের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায়, মাহফুজুর রহমান মাছুমের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়, অর্জুনের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে, রনির বাড়ি হবিগঞ্জে এবং তারেক সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা।
গতকাল সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার জানান, গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ শুক্রবার তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। এক পর্যায়ে তার স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেটের বাইরে বের হন। এ সময় ৬/৭ জন যুবক ওই নারীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় ধর্ষণ করে। প্রতিবাদ করলে তার স্বামীকে মারধরও করে ধর্ষণে অভিযুক্তরা।
খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ওই নারীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। পুলিশ দুর্বৃত্তদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা জ্যোতির্ময় সরকার।