রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন
#বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা: শামসুল হক টুকু। #বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে প্লেয়ার: আব্দুর রশিদ। #জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়ে আমাদের গর্বিত করেছেন বঙ্গবন্ধু: সুজিত রায় নন্দী। #ইতিহাস বিৃকতকারীদেরও বিচার করতে হবে: মিজানুর হক খান।
সিনিয়র প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলায় ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশের নেতৃত্ব বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং শোষিত মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। তারই কন্যা ৫ দফা দাবি তুলে একই ধারায় কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সাহসিকতার প্রতীক হয়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপে এসব কথা বলেন আলোচকরা। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. শামসুল হক টুকু, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং বার্লিন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মিজানুর হক খান। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ। 

শামসুল হক টুকু বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে ৩ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপরই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নেমে আসে। জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণের আরেকটি মূল দিক ছিল, এটি বিশ্বের অধিকারহারা শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে সোচ্চার এক কণ্ঠস্বর। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠার একটি বলিষ্ঠ উচ্চারণ ও সাহসী পদক্ষেপ। বিশ্ব পরিসরে বঙ্গবন্ধুর আগে বাংলা ভাষাকে এমন করে কেউ পরিচয়ও করিয়ে দেননি। আজকে ২৫ সেপ্টেম্বর প্রবাসীরা অভিবাসন দিবস হিসাবে পালন করছে। বঙ্গবন্ধুকে যদি ষড়যন্ত্রকারীরা হত্যা না করতো, তাহলে বাংলাদেশ আরো অনেক আগেই নেতৃত্বদানকারী দেশ হতো। দেখুন, মার্কিন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিৎঞ্জার একসময় বাংলাদেশকে বলেছিল, বাংলাদেশ হচ্ছে একটা তলাবিহীন ঝুঁড়ি। কিন্তু আজকে বাংলাদেশ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে বাংলাদেশ উদীয়মান শক্তি। একসময় বাংলাদেশ পাওয়ার হাউজ হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ঠাঁই দেয়ার পর ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম তাকে ‘মানবতার জননী’ বলে আখ্যায়িত করেছিল। তার দেয়া ভিশন ২০২১ এর মধ্যেই বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ ২০৩০ এর মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। একটা উন্নয়নশীল দেশ কিভাবে বিশ্বের বুকে এগিয়ে যেতে পারে, তা শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন। বিশ্বব্যাংককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পদ্মা সেতুর মতো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছে নিজস্ব অর্থায়নে। জঙ্গিবাদ যেখানে পুরো বিশ্বেরই সমস্যা। সেখানে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদের স্থান হচ্ছে না। এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আইন প্রণয়ন করেছিলেন। আমাদের আইনটাকে এখন অনেক দেশ অনুসরণ করছে। আমি আরো বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। এটা ছিল বিশ্বের সবচে বড় কালো আইন। আওয়ামী সরকার গঠন করে ১৯৯৬ সালে এই আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হয়েছে। আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। আজ আমরা এই অনুষ্ঠানেও ডিজিটাল প্লাটফর্মে বসে কথা বলছি। আমাদের গ্রামের একজন মানুষের কাছেও স্মার্ট ফোন আছে। তারা প্রবাসী আত্নীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন। আমি জননেত্রীকে শুধু জননেত্রী বলেই আখ্যা দিতে চাই। কারণ তিনি জনগণের ভাষা বুঝেন। এখন দেশে শিক্ষা, যোগাযোগ, নারীর ক্ষমতায়নে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। তিনি কতটা মানবিক হলে একজন বিশেষ তরুণীর সাথে কথা বলেন, দুই মাথাওয়ালা একটি শিশুকে চিকিৎসার জন্য জার্মানি পাঠিয়েছেন। তিনি শুধু বাংলাদেশের নেত্রী নন এখন, তিনি এখন বিশ্ব নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। এছাড়া সীমান্ত সমস্যার সমাধান ও সমুদ্রসীমা বিজয়ের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়ে বাংলাদেশ। সব কিছুই হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে।

মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন, জাতির জনকের ১৯৭৪ সালের সেই ভাষণটিই বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে নতুনভাবে উপস্থাপিত করছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, জাতিসংঘ হচ্ছে সমগ্র মানবজাতির পার্লামেন্ট। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে অনন্য অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে সেই সম্মেলনে যোগ দেয়ার আগেই একটা অনানুষ্ঠানিক প্রতিনিধি দল জাতিসংঘে গিয়েছিল। তারপর বঙ্গবন্ধু যোগ দিয়েছিলেন। আন্তাজর্তিকভাবে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতাকারী পাকিস্তানের বন্ধুরাষ্ট্ররা আমাদের সদস্যপদ প্রাপ্তিতে বাঁধা দিয়েছিল। সেসব দেশের মধ্যে চীন ছিল অন্যতম। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এসব বাঁধা টিকেনি। এরপর তারই সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভাষায় আমরা জাতিসংঘকে বলি বিশ্ব কূটনীতির মঞ্চ। জাতিসংঘ মানেই হচ্ছে পুরো পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সাল থেকে এরপর টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশের মর্যাদা আরো বাড়িয়েছেন। জাতিসংঘও বারবার তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভ্যাকসিন হিরো থেকে শুরু করে পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। জাতিসংঘে বিশ্বশান্তির জন্য তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার কথা তিনি জাতিসংঘে ভাষণে তুলে ধরেছেন। বিশ্ব উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশকে বলা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের দেশগুলোর মধ্যে নেতৃত্বদানকারী দেশ। জলবায়ুভিত্তিক যে কূটনীতি রয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করে কাজ করছে বাংলাদেশ। এছাড়া বিভিন্ন পুরষ্কারের মাধ্যমে বিশেষ করে গত ১২ বছরে সামাজিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার প্রশংসা করা হচ্ছে। দারিদ্রতার হ্রাস কমিয়ে আজ বিশ্বের বুকে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সব দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। সবচে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে সেখানে মানবতার কূটনীতিতে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। এই সব কিছুই হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এমনকি সর্বশেষ করোনা ভাইরাসের সময়ও বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল হবে ২০২৪ সালের মধ্যে। শেখ হাসিনার হাত ধরে ভিন্ন বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এমনকি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের একটা প্লেয়ার (প্রভাবশালী দেশ)। বঙ্গবন্ধু যে ভিশন দিয়ে গেছেন, সে পথেই হাঁটছেন শেখ হাসিনা। করোনাকালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ। শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই এমনটা হয়েছে। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। 

সুজিত রায় নন্দী বলেন, ১৯৭৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সর্বসম্মত অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। এর কয়েক দিন পর ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে প্রথমবারের মতো বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ভাষণটি ছিল সমগ্র বিশ্বের অধিকারহারা শোষিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ভাষণ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠার একটি বলিষ্ঠ উচ্চারণ ও সাহসী পদক্ষেপ। এটা ছিল তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রার প্রতিফলন। তার ভাষণ আমাদের গর্বিত করেছে। সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সুদৃঢ় অবস্থান নিয়ে বিশ্বের নন্দিত নেতায় পরিণত হয়েছিলেন সেটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল বঙ্গবন্ধুর জন্য। তিনি পৃথিবীর সকল শোষিত মানুষের নেতা ছিলেন। আব্রাহাম লিংকনের নাম বাদ দিয়ে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, মাও সেতুংয়ের নাম বাদ দিয়ে চীন, লেলিনের নাম বাদ দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন, হো চি মিনের নাম বাদ দিয়ে ভিয়েতনাম, ফিদেল কাস্ত্রোর নাম বাদ দিয়ে কিউবা, সুকর্ণর নাম বাদ দিয়ে ইন্দোনেশিয়া, মহাত্না গান্ধীর নাম বাদ দিয়ে ভারতের কথা যেমন চিন্তা করা যায় না; তেমনি বঙ্গবন্ধুর নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কথা চিন্তা করা যায় না। বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর মতোই শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন। ইংরেজ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টকে বঙ্গবন্ধুকে জবাব দিয়েছিলেন, ‘আমার দুর্বলতাও হচ্ছে বাঙালিকে অতিরিক্ত ভালোবাসা।’ সাগর মহাসাগরের গভীরতা মাপা যাবে, কিন্তু বাঙালিকে বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা পরিমাপ করা সম্ভব নয়। দেখুন এই করোনার সময় কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সরকারের পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ দেয়া হচ্ছে। এমনকি মেডিকেল কলেজগুলো থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ে সুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে, স্বপ্নের সোনার বাংলা হবে। জাতির পিতার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বিভিন্ন অধিবেশনে মাতৃভাষা বাংলায় ভাষণ দিয়ে আসছেন। এবারও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে ভার্চুয়াল অংশগ্রহণে বাংলায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

মিজানুর হক খান বলেন, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণের আরেকটি মূল দিক ছিল, এটি বিশ্বের অধিকারহারা শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে সোচ্চার এক কণ্ঠস্বর। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠার একটি বলিষ্ঠ উচ্চারণ ও সাহসী পদক্ষেপ। বিশ্ব পরিসরে বঙ্গবন্ধুর আগে বাংলা ভাষাকে এমন করে কেউ পরিচয়ও করিয়ে দেননি। আমি যখন জার্মানিতে চলে আসি তখন অনেকে বাংলাদেশকে চিনতো না, কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুকে চিনতো। তার মতো নেতার জন্ম হয় জাতির উন্নয়নের জন্য। বঙ্গবন্ধুকে জার্মানিতে যে পরিমাণ সম্মান দেখানো হয়, আমরা বাংলাদেশে তাকে সেই সম্মানটুকু করতে পারি নাই। একসময় আমাদের বন্যার দেশ, ভিক্ষুকের দেশ। আমাদের তখন লজ্জ্বা লাগতো। এখন আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের বিশ্বের বুকে সম্মানিত করেছেন। এখন আমরা মর্যাদাশীল জাতিতে পরিণত হয়েছি। আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার আংশিক বিচার কার্যকর হয়েছে। কিন্তু যারা বাংলাদেশে ইতিহাস বিকৃত করেছে তাদেরও বিচার করতে হবে। প্রবাসীদের পক্ষ থেকে এটা আমরা দাবি করছি।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]