প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলায় ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশের নেতৃত্ব বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং শোষিত মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। তারই কন্যা ৫ দফা দাবি তুলে একই ধারায় কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সাহসিকতার প্রতীক হয়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপে এসব কথা বলেন আলোচকরা। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. শামসুল হক টুকু, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং বার্লিন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মিজানুর হক খান। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
শামসুল হক টুকু বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে ৩ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপরই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নেমে আসে। জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণের আরেকটি মূল দিক ছিল, এটি বিশ্বের অধিকারহারা শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে সোচ্চার এক কণ্ঠস্বর। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠার একটি বলিষ্ঠ উচ্চারণ ও সাহসী পদক্ষেপ। বিশ্ব পরিসরে বঙ্গবন্ধুর আগে বাংলা ভাষাকে এমন করে কেউ পরিচয়ও করিয়ে দেননি। আজকে ২৫ সেপ্টেম্বর প্রবাসীরা অভিবাসন দিবস হিসাবে পালন করছে। বঙ্গবন্ধুকে যদি ষড়যন্ত্রকারীরা হত্যা না করতো, তাহলে বাংলাদেশ আরো অনেক আগেই নেতৃত্বদানকারী দেশ হতো। দেখুন, মার্কিন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিৎঞ্জার একসময় বাংলাদেশকে বলেছিল, বাংলাদেশ হচ্ছে একটা তলাবিহীন ঝুঁড়ি। কিন্তু আজকে বাংলাদেশ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে বাংলাদেশ উদীয়মান শক্তি। একসময় বাংলাদেশ পাওয়ার হাউজ হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ঠাঁই দেয়ার পর ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম তাকে ‘মানবতার জননী’ বলে আখ্যায়িত করেছিল। তার দেয়া ভিশন ২০২১ এর মধ্যেই বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ ২০৩০ এর মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। একটা উন্নয়নশীল দেশ কিভাবে বিশ্বের বুকে এগিয়ে যেতে পারে, তা শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন। বিশ্বব্যাংককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পদ্মা সেতুর মতো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছে নিজস্ব অর্থায়নে। জঙ্গিবাদ যেখানে পুরো বিশ্বেরই সমস্যা। সেখানে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদের স্থান হচ্ছে না। এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আইন প্রণয়ন করেছিলেন। আমাদের আইনটাকে এখন অনেক দেশ অনুসরণ করছে। আমি আরো বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। এটা ছিল বিশ্বের সবচে বড় কালো আইন। আওয়ামী সরকার গঠন করে ১৯৯৬ সালে এই আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হয়েছে। আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। আজ আমরা এই অনুষ্ঠানেও ডিজিটাল প্লাটফর্মে বসে কথা বলছি। আমাদের গ্রামের একজন মানুষের কাছেও স্মার্ট ফোন আছে। তারা প্রবাসী আত্নীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন। আমি জননেত্রীকে শুধু জননেত্রী বলেই আখ্যা দিতে চাই। কারণ তিনি জনগণের ভাষা বুঝেন। এখন দেশে শিক্ষা, যোগাযোগ, নারীর ক্ষমতায়নে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। তিনি কতটা মানবিক হলে একজন বিশেষ তরুণীর সাথে কথা বলেন, দুই মাথাওয়ালা একটি শিশুকে চিকিৎসার জন্য জার্মানি পাঠিয়েছেন। তিনি শুধু বাংলাদেশের নেত্রী নন এখন, তিনি এখন বিশ্ব নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। এছাড়া সীমান্ত সমস্যার সমাধান ও সমুদ্রসীমা বিজয়ের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়ে বাংলাদেশ। সব কিছুই হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে।