প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৮:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের তরুণ সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী। দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহকে পরাজিত করেন তিনি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সিংহভাগ নেতাকর্মী আছেন তার সঙ্গে। জনসমর্থনও বেশি তার দিকে।
নৌকার মনোনয়ন পেয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন মো. কাউছার। এতদিন নির্বাচনী এলাকাতে কাজী জাফরউল্যাহর সমর্থক হিসেবে পরিচিতি ছিলেন তিনি। তবে, চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক শুক্রবার বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতা বদল করে নিক্সন চৌধুরীর সঙ্গে যোগদান করলেন।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিক্সন চৌধুরীর বাসভবন প্রাঙ্গণে স্বর্ণের নৌকা হাতে তুলে দিয়ে আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে কাজী জাফরউল্যাহকে ছেড়ে সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর সঙ্গে রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে যোগ দেন তিনি। এসময় ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদালাপী ও জনগণ অন্তপ্রাণ নেতা হিসেবে নিক্সন চৌধুরী ফরিদপুর-৪ আসনের আপামর মানুষের মন জয় করেছেন। তার সময়ে এই আসনে যে উন্নয়ন হয়েছে অতীতের সব ইতিহাসকে তা ছাড়িয়ে গেছে। গণমানুষের নেতা হিসেবে নিক্সন চৌধুরীর শক্তি মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হলেও অতীতেও তিনি সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন দক্ষতার সাথে। তাই মানুষ ভালোবেসে তাকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয়বার জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছে। সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফরউল্যাহকে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন নিক্সন চৌধুরী।
স্বতন্ত্র নির্বাচন করলেও নিক্সন চৌধুরী আওয়ামী লীগ পরিবার ও রাজনীতির একনিষ্ঠ কর্মী। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে। তার বড় ভাই মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন। বরাবরই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নিয়ে চলেন নিক্সন চৌধুরী।
এবিষয়ে মো. কাউছার ঢাকা বলেন, ‘আমাদের সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর দল এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। উন্নয়নে ফরিদপুর-৪ আসনে তার বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তিনি আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছেন। আমি এবং আমার রাজনৈতিক সহকর্মীরা তার সঙ্গে আজ যোগদান করলাম। তার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সহযাত্রী হলাম। সবাই একসঙ্গে কাজ করে আগামী ১০ অক্টোবর উপনির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করব ইনশাল্লাহ।’
আগামী ১০ অক্টোবর চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের ২২ অক্টোবর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা মারা গেলে পদটি শূন্য হয়।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মার্চ উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনের দিন ঠিক ছিল। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মো. কাউছার। কিন্তু বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। পরে ১০ অক্টোবর উপনির্বাচনের দিন ঠিক করা হয়।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ও হাট-বাজারে ভোট চেয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই নির্বাচনে দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট সাতজন প্রার্থী বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।