প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৬:৩৫ পিএম আপডেট: ২৫.০৯.২০২০ ৭:৪৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। নানা সময়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে সংগঠনের কতিপয় নেতাকর্মী। বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী এবং ছাত্রলীগের সর্বেোচ্চ অভিভাবক শেখ হাসিনা যেখানে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে কাজ করে যাচ্ছেন, সেখানে কুমিল্লা উত্তর জেলার অর্ন্তগত তিতাস উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন সাদ্দাম ইতিমধ্যেই মাদকসম্রাট বনে গেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিতাস উপজেলায় মাদকের একক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তোফাজ্জল হোসেন সাদ্দাম। সম্প্রতি তিতাস উপজেলার মাছিমপুর আর আর উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে এই তোফাজ্জল হোসেন সাদ্দামের মামার কক্ষ থেকে ২৪ কেইস বিয়ার তিতাস থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে। বিষয়টির সঙ্গে সরাসরি সাদ্দাম জড়িত থাকার পরও অনেকেই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
এলাকায় এককভাবে মাদকের মধ্যে মরণনেশা ইয়াবার সবচে বড় ব্যবসায়ী হিসাবে কাজ করছেন এই সাদ্দাম-এমন অভিযোগ খোদ ছাত্রলীগেরই নেতাকর্মীদের। সাদ্দামের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিতাস উপজেলায় যত ধরণের মাদক ব্যবসা আছে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ করেন তোফাজ্জল হোসেন সাদ্দাম। এমনকি তার বাইরে গিয়ে যারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নেন।
কয়েকদিন আগেই কুমিল্লার তিতাস উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক (অব্যাহতি নেয়া) সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহাম্মদ ফকিরের ইয়াবা সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এমন ভিডিও দেখে তিতাসের সর্বস্তরের মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এরপর ফরহাদকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শোকজ করা হলেও পরবর্তীতে নিজেই সংগঠন থেকে অব্যাহতি নিয়ে চলে যান ফরহাদ।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তো শুধু মাদক সেবনের সাথে জড়িত, কিন্তু উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সরাসরি মাদক ব্যবসায়ীদের সম্রাটে পরিণত হয়েছেন। এক্ষেত্রে প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে বলেও মনে করেন অনেকে।
মাদক ব্যবসার অভিযোগে তোফাজ্জল হোসেন সাদ্দামকে শুক্রবার বিকাল ৫ টা ১২ মিনিটে ফোন করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে একটি ক্ষুদেবার্তাও তাকে পাঠানো হয়েছে।
পরে সন্ধ্যা ৬ টা ৫৮ মিনিটে নিজেই কল ব্যাক করেন সাদ্দাম। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তবে সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিটে তিতাস থানার ওসি তদন্ত শহীদুল ইসলাম ভোরের পাতার সিনিয়র প্রতিবেকদকে ফোন করেন। তবে তিনি মাছিমপুর আর আর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাদক উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে একটি মামলাও হয়েছে। তবে মামলাটির তদন্ত চলছে।