কেলেঙ্কারি ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে দুই নেতার বিরুদ্ধে। এরপর ১২ সেপ্টেম্বর নেতা হতে ৪০ লাখ টাকা লেনদেনের অডিও ফাঁস হলে পলাশ ও রাকিবকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে পলাশ ও রাকিব কয়েক দফা ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলেও কর্মীদের ধাওয়ায় তারা পালিয়ে যান। সর্বশেষ এ বছরের ২১ জানুয়ারি পলাশ ও রাকিব বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাস তাদের ইচ্ছেমতো পরিচালনা করতে তৎকালীন ভিসি ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী ও সাবেক প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমান মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাদের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত দু’জনকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি কেন্দ্র থেকে অনুমোদন করে নিয়ে আসেন।
ছাত্রলীগ নেতা তৌকির মাহফুজ মাসুদ বলেন, মেগা প্রকল্পের ৫৩৭ কোটি টাকার টেন্ডার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত দু’জনকে নেতা বানিয়েছেন সাবেক ভিসি ও প্রক্টর। কমিটিতে ছাত্রলীগের নেতাদের কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি। এমনকি সাবেক ভিসি ও প্রক্টর সব সময় ছাত্রলীগ কর্মীদের অবমূল্যায়ন করেছেন।
বর্তমান কমিটির সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তাই আমরা কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। তবে করোনার সময়ে নিজ নিজ এলাকায় আমরা সেবামূলক কার্যক্রম করেছি। বর্তমানে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া তালিকা তৈরির কাজ চলছে। শিগগিরই কেন্দ্রে কমিটি জমা দিতে পারব বলে আশা করছি।