প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৩:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বদলি পর এবার আরও ১৩০৯ জন কর্মকর্তা ও সদস্যদের একযোগে বদলির আদেশ এসেছে।
কক্সবাজারে নতুন যোগ দেওয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'কক্সবাজার জেলা পুলিশের এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল মিলে ১৩০৯ জনের বদলির আদেশ এসেছে। পুলিশ সদর দফতর এবং পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।' পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট যারা থাকবেন তাদেরও বদলি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, কক্সবাজার জেলা পুলিশকে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হচ্ছে। আর এর জন্য কক্সবাজারে দায়িত্ব পালন করা শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত সবাইকে বদলি করা হচ্ছে ।
জেলা পুলিশের সূত্র মতে শুক্রবার পর্যন্ত এই বদলির সংখ্যা দাঁড়িয়ে ১৩৪৭ জন। এর মধ্যে রয়েছে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ শীর্ষ ৮ কর্মকর্তা, ৮ থানার ওসিসহ ৩৪ পরিদর্শক, ১৫৮ জন উপ-পরিদর্শক (এসআই), ৯২ জন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই), ১০৫৫ জন নায়েক ও কনস্টেবল। সবাইকে চট্টগ্রাম রেঞ্জের বাইরে ভিন্ন রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বদলি হওয়া শূন্য পদ পূরণে শুক্রবার চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে যোগ দিচ্ছেন ৮ থানার ওসিসহ ৩৭ জন পুলিশ পরিদর্শক, ৮৫ জন এসআই-এএসআই ও ৭৩৪ জন কনস্টেবল। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কক্সবাজার জেলা পুলিশে সম্পূর্ণ নতুন জনবল যোগদান করবে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেনকে রাজশাহীর পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়। আর ঝিনাইদহের এসপি মোহাম্মদ হাসানুজ্জামানকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নবাগত এসপি বুধবার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার এসপি মাসুদ হোসেন কক্সবাজার থেকে বিদায় নেন। পরে ২১ সেপ্টেম্বর বদলি করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপারসহ অপর ৭ শীর্ষ কর্মকর্তাকে। আর বৃহস্পতিবার রাতে ৮ থানার ওসিসহ ৩৪ পরিদর্শককে বদলি করা হয়।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ রোডে বাহারছড়া পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব) সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনার পর কক্সবাজার জেলা পুলিশকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নেয় পুলিশ সদর দফতর। ওই ঘটনায় মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ারের দায়ের করা হত্যা মামলায় টেকনাফের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ১১ জন পুলিশ সদস্য জেল হাজতে রয়েছেন।