প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনার ভ্যাকসিন পেতে মরিয়া গোটা বিশ্ব। চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া অদৃশ্য ভাইরাসটির টিকা কখন আসবে তা নিয়ে মানুষের অপেক্ষার শেষ নাই। ইতোমধ্যে মানবদেহে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হলেও এখনো চূড়ান্তে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কেউ। আগামী বছরের শুরুতে করোনার ভ্যাকসিন মিলতে পারে বলে অনেকে আশাবাদী হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস এমন আশার কথা শোনাতে পারেননি।
তিনি বলেছেন, ‘করোনার সব ভ্যাকসিনই যে কাজ করবে, এমন নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়।'
একটি ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘আমরা কোনো গ্যারান্টি দিতে পারব না যে পরীক্ষাধীন সব ভ্যাকসিনই কার্যকরী হবে। যত বেশি স্বেচ্ছাসেবকদের উপর আমরা পরীক্ষা করতে দেব, তত একটি নিরাপদ ও কার্যকরী ভ্যাকসিনের খোঁজ পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে।’
আধানম গেব্রিয়েসুস আরও বলেন, ‘প্রায় দু’শ ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে গোটা বিশ্বে। ভ্যাকসিন তৈরির ইতিহাস আমাদের বলে দিচ্ছে, কেউ কেউ ব্যর্থ হবে, আবার কেউ সফল হবে।’
করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার যেকোন প্রতিযোগিতা নয়, সেই কথা আবারও মনে করিয়ে দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের পরামর্শ, দেশগুলিকে একে অপরকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সমস্ত দেশকে এ বিষয়ে একযোগে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস জানান, করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সব দেশেরই মূল লক্ষ্য। তবে যে দেশগুলি গবেষণায় এগিয়ে আছে, তাদের উচিত বাকিদের সাহায্য করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘এটা কোন চ্যারিটির বিষয় নয়। একসঙ্গেই আমাদের ডুবতে হবে বা ভাসতে হবে। এই মহামারিকে খতম করতে এবং গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার দ্রুততম পথ হল, সব দেশেরই কিছু কিছু মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা। কিছু কিছু দেশের সব মানুষের শরীরে তা প্রয়োগ নয়।’