বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
কালো টাকার কারণে হঠাৎ বেড়েছে সিন্দুকের বিক্রিয়!
সিনিয়র প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:৫৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ

করোনা আক্রমণের কয়েক মাস আগেই রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অব্যাহত অভিযানে বিভিন্ন ক্লাব, বার ও বাসা-বাড়িতে সন্ধান পাওয়া গিয়েছে লকার বা সিন্দুকের। এসবের ভেতরে মিলছে কোটি কোটি নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও আগ্নেয়াস্ত্র। সিন্দুক প্রস্তুতকারী ও বিক্রেতারা বলছেন, একসময় কেবল সোনা ব্যবসায়ীদের মধ্যে সিন্দুক-লকার ব্যবহারের প্রচলন ছিল; এখন বাসা-বাড়িতেও এর চাহিদা বেড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেবল রাজধানীর বংশালের ইংলিশ রোডের দোকানগুলো থেকে মাসে শতাধিক লকার বিক্রি হয়। কয়েক বছর আগেও এ চিত্র ভিন্ন ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, অবৈধভাবে আয় করা টাকা ব্যাংকে না রেখে বাসা-বাড়িতে লকারে লুকিয়ে রাখছে অসাধু ব্যক্তিরা।

২৫ সেপ্টেম্বর বংশালের ইংলিশ রোডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মালিটোলা বিপণিবিতানের ওপরে বংশাল থানা কার্যালয়, নিচে রয়েছে স্টিল ফার্নিচারের ৪০টি দোকান। এর মধ্যে ৫টি—হাসান মেটালের দুটি, জুয়েল মেটাল, শাবনাজ স্টিল কিং ও ডিজিটাল লকার হাউজ শুধু সিন্দুক বা লকার বিক্রি করে। প্রতিষ্ঠানগুলো পুরান ঢাকার সিক্কাটোলি, যাত্রাবাড়ীর কাজলা, ভাঙ্গা প্রেস এলাকা ও স্বামীবাগ রেলগেট এলাকার কারখানা থেকে সিন্দুক তৈরি করে আনে। ঢাকার বাইরে ভৈরবের রানীবাজার ও খুলনা থেকেও উন্নতমানের সিন্দুক এনে বিক্রি করে তারা।

এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা জানান, তাদের মার্কেট থেকে মাসে শতাধিক সিন্দুক বিক্রি হয়। কোনও কোনও মাসে এর থেকে বেশিও হয়। কয়েক বছর আগেও এত বেশিসংখ্যক সিন্দুক বিক্রি হতো না।

দোকানিরা জানান, ক্রেতার অর্ডার অনুযায়ী তারা সিন্দুক তৈরি করেন। সিন্দুক বিক্রির কোনও মৌসুম নেই। সাধারণত সোনা ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন এজেন্ট ব্যাংক তাদের কাছ থেকে সিন্দুক কেনে। বর্তমানে সাধারণ মানুষও বাসা-বাড়িতে সিন্দুক ব্যবহার শুরু করেছে।

শাবনাজ স্টিল কিং প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৪০ বছর ধরে আমরা ব্যবসা করছি। সবসময়ই লকার, সিন্দুক বিক্রি হয়। ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ সবাই কিনছে।’ ব্যাংক, ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি—সব স্তরেই তাদের ক্রেতা রয়েছে বলে জানান তিনি। এই ব্যবসায়ী জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানে ১৬ হাজার থেকে লাখ টাকার বেশি দামের সিন্দুক রয়েছে। মাসে তাদের ১০ থেকে ১৫টি সিন্দুক বিক্রি হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বানিয়ানগর, লালমোহন ও নারিন্দায় অভিযান চালিয়ে গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনুর ৫টি সিন্দুক থেকে ৫ কোটি টাকা, ৭৩০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২টি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ১টি শটগান, ২টি ইয়ারগান উদ্ধার করে র‌্যাব। এসব সিন্দুক তিনি কিনেছিলেন ইংলিশ রোডের শাবনাজ স্টিল কিং থেকে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]