প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১:৪৯ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক ষড়যন্ত্র
করাই বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ
সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা
বিদেশে বসে সরকার পতনের জন্য ষড়যন্ত্র করে, আবার দেশে নির্বাচনে
অংশগ্রহণের কথা বলে, এটা তাদের ষড়যন্ত্রের রাজনীতির অংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার
ক্রসবর্ডার রোড নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায়
সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন। সংসদ ভবন এলাকার নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও
কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় যুক্ত হন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি
এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তি একটি বিদেশি সংস্থার সঙ্গে গোপনে বৈঠক করে সরকার
পতনের ষড়যন্ত্র করছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ এসেছে। তারা বিদেশে বসে সরকার
পতনের ষড়যন্ত্র করে, আবার দেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা বলে।’
তিনি বলেন,
‘এ থেকে বিএনপি ও দ্বি-চারিতা এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতি স্পষ্ট হয়। মুখে
নির্বাচন আর গণতন্ত্র, অন্তরে দ্বি-চারিতা আর ষড়যন্ত্র। এটাই বিএনপির
রাজনৈতিক দর্শন।’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কখনো জেদ্দা, কখনো
আবুধাবি-যেখানেই গোপন বৈঠক করুক, সব খবরই সরকার পায়। আমরা বলতে চাই, গোপন
বৈঠক আর ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ নেই।’ তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করতে হবে জনগণের
জন্য। জনগণের মন জয় করুন। সরকার করতে চাইলে জনমানুষের কাছে আসুন, বিদেশি
শক্তি বা সংস্থার কাছে নয়।’ এ সময় পদ্মাসেতুর কাজের সঙ্গে সমন্বয় রেখে
কালনা সেতুর নির্মাণকাজ আরও দ্রুত এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন
সেতুমন্ত্রী। ভার্চুয়াল সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব,
সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের
কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তি
একটি বিদেশি সংস্থার সাথে গোপনে বৈঠক করে সরকার পতনের ষড়যন্ত্র করছে বলে
গণমাধ্যমে সংবাদ এসেছে। তারা বিদেশে বসে সরকার পতনের ষড়যন্ত্র করে, আবার
দেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা বলে। এ থেকে বিএনপি ও দ্বি-চারিতা এবং
ষড়যন্ত্রের রাজনীতি স্পষ্ট হয়। মুখে নির্বাচন আর গণতন্ত্র অন্তরে
দ্বি-চারিতা আর ষড়যন্ত্র। এটাই বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন।’ ওবায়দুল কাদের গত
বৃহস্পতিবার ক্রসবর্ডার রোড নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা
সভায় এ কথা বলেন। সংসদ ভবন এলাকার তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও
কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় যুক্ত হন তিনি।
করোনার সংক্রমণ রোধে
সচেতনতাই সবচেয়ে উত্তম জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, করোনার ভ্যাকসিন
আসছে ভেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে অনেকেই গা-ছাড়া ভাব দেখা
দিয়েছে, অনেকে অবহেলা করছেন এবং মাস্ক পরিধান করছে না। কার্যকর ও
সর্বজনগ্রাহ্য ভ্যাকসিন কবে আসবে তা এখনো সুনিশ্চিত নয়। এর মধ্যে
বিশেষজ্ঞরা আসন্ন শীতে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকির আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার এ লক্ষ্যে ঝুঁকি মোকাবিলায় নতুন
করে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরিধানই
সবচেয়ে বড় প্রতিষেধক।
কালনা সেতু দ্রুত নির্মাণ করা জরুরি জানিয়ে
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রায় ৭ শত মিটার দীর্ঘ কালনা সেতুটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ সেতু। মধুমতি নদীর দু’পাড়ের মাঝে সেতুবন্ধ তৈরি ছাড়াও কালনা
সেতুটি পদ্মাসেতুর সাথে সংযুক্ত বিধায় পদ্মাসেতুর সুবিধা পেতে হলে কালনা
সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা জরুরি। ইতিমধ্যেই কালনা সেতুটি শতকরা ৩৫ ভাগ কাজ
শেষ হয়েছে। পদ্মাসেতুর কাজের সাথে সমন্বয় রেখে কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ
আরো দ্রুত এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এসময় ভার্চুয়াল
প্ল্যাটফর্মে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, সড়ক ও জনপথ
অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা
উপস্থিত ছিলেন।