প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৮:২০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মোংলায় ঘরের আড়ার সাথে গলায় গামছা প্যাঁচানো মাদ্রাসা পড়–য়া ৯ বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে গলার ফাঁস খুলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত্য ঘোষনা করে। তবে পুলিশের প্রাথমিক সুরতহালে আত্মহত্যার নমুনা না মেলায় শিশুটি আত্মহত্যা করেছে নাকি মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বা অন্য কোন কারণ রয়েছে এনিয়ে এলাকা জুড়ে চলছে নানা গুঞ্জন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যা দাবী করা হলেও মুলত চিকিৎসক ও পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে আত্মহত্যার কোন নমুনা পাওয়া যায়নী বলে জানায় জানানো হয়েছে।
মোংলা থানা পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলার র“চোমারী গ্রামে দাদা-দাদীর সাথে থাকতেন শিশু আব্দুললাহ শেখ। তার মা-বাবা কর্মের সন্ধানে চট্রগ্রামে বসবাস করেন। ছোট বেলা থেকেই মা ও বাবা তাছিরুল শেখ দাদা-দাদীর কাছে রেখে চট্ট্রগ্রামে থাকেন। একই ঘরে বসবাস করেন চাচী কুলসুম বেগম, তারও এক বছরের শিশু পুত্র রয়েছে।
সোমবার রাতে দাদা বাডীর বসত ঘরের আড়ার সাথে আব্দুল্লহকে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্তায় ঝুলতে দেখে দাদা সালাম শেখ তাকে নিচে নামিয়ে চিৎকার করতে তাকে। এসময় স্তানীয়রা দ্রুত আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মৌসুমী মৌ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে প্রতিবেশীরা আব্দুল্লার লাশ নিয়ে হাসপাতালে আসলেও ঘরে থাকা দাদা-দাদী ও আপন চাচীরা কেউই সাথে আসেনী। আব্দুল্লাহ রুচোমারী গ্রামের তাছিরুল শেখ’র ছেলে। আব্দুল্লাহ উত্তর বাশতলা কেরাতুল মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়াশুনা করতেন। মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রেরর মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহানা বলেন, হাসপাতালে রাতে আব্দুল্লাহকে মৃত্য অবস্তায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার শরীরে আত্মহত্যার কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নী, তবে ময়না তদন্ত করলেই সব কিছু জানা যাবে।
মোংলা থানার থানার এস আই লিটন মন্ডল জানায়, আব্দুল্লাহ শরীরের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করা হয়েছে, গলায় সামন্ন কালো দাগ থাকলেও তার আত্মহত্যার কোন নমুনা পাওয়া যায়নী। তাই এটি আত্মহত্যা নাকি, অন্য কোন কারণ, সঠিক বিষয়টি জানার জন্য লাশের ময়না তদন্ত শেষে নিশ্চিৎ হওয়া যাবে। তাই ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী জানায়, আমাদের সন্দেহ হওয়ায় গলায় ফাসঁ লাগানো শিশুটিকে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে এর মৃত্যর মুল ঘটনা উধঘাটন করা সম্ভব হবে।