প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৮:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত চান ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী। গতকাল সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ দাবি জানান তিনি।
ফেসবুকে রাব্বানী লিখেছেন, ‘ইনবক্স-টাইমলাইন-কমেন্ট বক্সে একটি টাটকা নিউজ বেশ আলোচিত। গত রাতে ডাকসুর সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর সাহেবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। মামলার মূল আসামি হাসান আল মামুন আর নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি পূর্বপরিকল্পিতভাবে লালবাগের নবাবগঞ্জ রোডের একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে গুরুতর অভিযোগ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর।
স্পর্শকাতর এই মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে নূর সাহেবের পদ, রাজনৈতিক অবস্থান বা মতাদর্শ যেন কোন নিয়ামক বা প্রভাবক হিসেবে বিবেচিত না হয়। দ্রুততম সময়ে অভিযোগটির সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত হোক, সে দোষী সাব্যস্ত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক আর নির্দোষ হলে দায়মুক্তি পাক, এটাই প্রত্যাশা।’
উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে ঢাবির এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর মৎসভবন এলাকা থেকে নুরকে আটক করে পুলিশ। এরপর রাত ১০টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে ঢামেক হাসপাতাল থেকে রাত পৌনে ১২টার দিকে দ্বিতীয় দফায় নুর ও তার সহযোগী সোহরাবকে ডিবির কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সবশেষে রাত পৌনে ১টার সময় ডিবি পুলিশের কার্যালয় থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরকে।
এদিকে, এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন।
মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। ধর্ষণের স্থান হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে হাসান আল মামুনের বাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
নুর ও মামুন ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।