ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় বহিষ্কার হচ্ছেন শিশু হাসপাতালের স্বাচিপ নেতা জহিরুল ইসলাম লিটন!
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:৩০ পিএম আপডেট: ২২.০৯.২০২০ ৮:৩৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
গত ১৯ সেপ্টেম্বর দৈনিক ভোরের পাতার অনলাইন ভার্সনে এবং পরের দিন প্রিন্ট ভার্সনে ‘শিশু হাসপাতালে নার্স নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তর বলে দেওয়ার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে’ শিরোনামে নিউজ প্রকাশের পর অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)। বুধবার স্বাচিপের সিনিয়র নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন।
এমনকি অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম লিটনকে বহিষ্কার করা হবে বলে ভোরের পাতাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাচিপের সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সেনাল। তিনি বলেন, সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে যেকোনো ধরণের অপকর্ম করলে তাকে বহিষ্কার করার নিয়ম আমাদের রয়েছে। আমি এ বিষয়ে মহাসচিবকে দায়িত্ব দিয়েছি। তিনিও আমার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। এছাড়া ঢাকা শিশু হাসাপাতালের স্বাচিপ নেতাদের বিরুদ্ধে লাগাতর অভিযোগ শুনতে শুনতে আমরা বিরক্ত হয়ে পরেছি।
গত শনিবার ঢাকা শিশু হাসপাতালে নার্স নিয়োগ পরীক্ষায় এক পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নের উত্তর বলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল হাসপাতালের ডা. জহিরুল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে। শিশু হাসপাতালের পুরাতন ভবনের করিডর ২ তে এ ঘটনা ঘটে। এক পরীক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে কিছু বলে দিচ্ছেন এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পরেছে।
তবে এ বিষয়ে ফোন করলে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ডাক্তার লিটন। গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ারও হুমকিও দেন ডা. লিটন। তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (সাচিপ) শিশু হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক। চিকিৎসকরদের অভিযোগ তিনি এই পদের জোরে হাসপাতালের সবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। কোনো কাজ না করেও বেতন নেন। এছাড়া দীর্ঘদিন সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরিও করেছেন যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত। এছাড়া তার সঙ্গে একই হাসপাতালের চিকিৎসক শাহীন এবং শরিফ মিলে একটা কালো সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। তারা হাসপাতালের কর্ম পরিবেশ নষ্ট করছেন প্রতিনিয়ত। এসব বিষয়ে লিখিতভাবে অভিযোগও করা হয়েছে। এমন একটি অভিযোগের কপি ভোরের পাতার হাতেও এসেছে।
জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১০ টা পযন্ত শিশু হাসপাতালের নার্স নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় পরীক্ষার হল করিডোর ২ তে এক পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নের উত্তর বলে দিচ্ছিলেন এমন এক মিনিট এক সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফাঁস হয়। ভিডিওতে দেখা গেছে ওই রুমের দায়িত্বে থাকা ডা. রেজওয়ানা রুমা সামনে চেয়ারে বসে আছেন। ডা. লিটন বোরখা পরা এক পরীক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে নিচু হয়ে কিছু একটা বলছেন, আর ওই পরীক্ষার্থী বৃত্ত ভরাট করছেন। এমন ভিডিও ভোরের পাতার হাতে রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. জহিরুল ইসলাম লিটনকে ফোন করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে ক্ষুদেবার্তা (এসএমএস) পাঠালেও কোনো প্রতিউত্তর আসেনি।