প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:১৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
লাদাখসহ ভারতের পূর্ব দিকে এলএসি বরাবর গত তিন বছরে নিজেদের শক্তি তিন গুণ বাড়িয়েছে চীন। ডোকলামে সংঘাতের পরই সীমান্তে সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করে দেশটি। ভূ-রাজনৈতিক সংক্রান্ত মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহকারী সংস্থা স্ট্র্যাটফরের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর নিজেদের শক্তি তিন গুণ বাড়িয়ে নিতে সফল হয়েছে চীন।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, চলতি বছরের প্রায় পুরো সময়ই সীমান্ত উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থিতাবস্থা ফেরাতে এই মুহূর্তে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসতে চাইছে চীন-ভারত। এর মধ্যেই এলএসি বরাবর চীনের শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে মার্কিন সংস্থার রিপোর্ট দিল্লির মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্যাটেলাইট ফুটেজ দেখে এলএসি বরাবর চীনা বাহিনীর সামরিক নির্মাণ ও পরিকাঠামোর অবস্থান পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্ট্র্যাটফর। তাতেই ডোকলাম এবং লাদাখ সংঘাতের পরের পরিস্থিতির মধ্যে বিস্তর ফারাক ধরা পড়েছে, যা ভারতের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত দুশ্চিন্তাজনক হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের। ওই রিপোর্টে বলা হয়, এলএসি সংলগ্ন এলাকায় কমপক্ষে ১৩টি নতুন সামরিক অবস্থান গড়ে তুলতে শুরু করেছে চীন। এরমধ্যে তিনটি বিমানবাহিনী ঘাঁটি, পাঁচটি স্থায়ী আকাশসীমা প্রতিরক্ষা কেন্দ্র এবং পাঁচটি হেলিপোর্ট রয়েছে।
লাদাখ সংঘাতের পরই হেলিপোর্টগুলো নির্মাণের কাজ শুরু হয় বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
এ ছাড়াও রেডিও সিগন্যাল, রাডার এবং উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে শত্রুপক্ষের অবস্থান নির্ধারণ করার জন্য রয়েছে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্টেশন।
পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পন্ন দুই দেশের সঙ্গে অমীমাংসিত ২২ মাইল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা রয়েছে। ১৯৬২ সাল থেকে অরুনাচল, সিকিম ও লাদাখ সীমান্তে প্রতিবেশী দুই দেশের সঙ্গে একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে।