প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৬:৫৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সনদপ্রাপ্ত আইনজীবী না হয়েও বিচারকের সামনে মামলার শুনানি করতে যান এসএম সারোয়ার আলম (৩৮)। তার শুনানির ধরন দেখে সন্দেহ তৈরি হয় উপস্থিত আইনজীবীদের। ওই সময় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে সত্য স্বীকার করেন সারোয়ার আলম। এজলাস থেকে পালানোর সময় অন্য আইনজীবীরা তাকে সেখান থেকে ধরে আইনজীবী সমিতির সভাপতির কার্যালয় নিয়ে যান। সেখানে বুকে ‘আমি টাউট’ লেখা কাগজ লাগিয়ে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাখা হয়। এমন ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহে।
জানা গেছে, ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আয়শা হকের আদালতে সোমবার দেওয়ান বাগী পীরের দরবার শরীফ নিয়ে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য্য ছিলো। শুনানির জন্য দেওয়ানবাগী পীরের দরবার শরীফের পক্ষে অ্যাডভোকেট নূরুজ্জামানসহ অন্তত ৪০ জন আইনজীবী অংশ নেন। বাদি পক্ষের হয়ে গাজীপুর আদালতের আইনজীবী পরিচয় দিয়ে এসএম সারোয়ার আলম শুনানিতে অংশ নেন। সারোয়ার আলম গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বাঘেরবাজার এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে। তার সাথে ময়মনসিংহ আইনজীবী সমিতির কিছু সদস্যও অংশ নেন। শুনানির এক পর্যায়ে প্রবীন আইনজীবীদের সন্দেহ হয় সারোয়ার আলমের শুনানির ধরনে। ওই সময় তাকে চ্যালেঞ্চ করা হলে সত্য স্বীকার করে এজলাস থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। ওই সময় তাকে উপস্থিত আইনজীবীরা আটকে ফেলেন।
অ্যাডভোকেট নূরুজ্জামান জানান, গত মার্চের দিকে করা ওই মামলায় দরবারের ওপর ১৪৪ ধারা জারির বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিলো সোমবার। শুনানিতে এসএম সারোয়ার আলমসহ গাজীপুর আদালত থেকে এসেছে পরিচয় দিয়ে স্থানীয় কয়েকজন আইনজীবী নিয়ে শুশানিতে অংশ নেয়। শুনানির এক পর্যায়ে সন্দেহ হলে চ্যালেঞ্জের মুখে পালানোর চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। অ্যাডভোকেট নূরুজ্জামান বলেন, উদ্ধুত পরিস্থিতে আইনজীবীরা ওই যুবককে ধরে ফেলে। এ নিয়ে হট্টগোল শুরু হলে বিচারক কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে চলে যান। পরে আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে নিয়ে বুকে কাগজে ‘আমি টাউট’ লিখে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।