প্রকাশ: বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:২৯ পিএম আপডেট: ১৬.০৯.২০২০ ১২:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি পারাবত ১১ লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সাখে ঘটনায় নিহত নারীর পরিচয় জানা গেছে। পিবিআই কার্য্যালয়ে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১০ টায় সংবাদ সম্মেলণে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই এর বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো: হুমায়ন কবির জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল ঢাকার মিরপুর থেকে ঘাতক মো: মনিরুজ্জামানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিহত লাবনীকে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনা স্বিকার করেছে। তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যাবহৃত ওড়না সহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘাতক মনিরুজ্জামান গাজিপুর জেলার কাপাশিয়া টোক গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম আব্দুস সহিদ। সে বর্তমানে ঢাকার মিরপুর দারুস সালাম এলাকার প্রিন্সিপাল আবুল হাসেম রোডের একটি সরকারী কোয়ার্টারে বসবাস করতো। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকান্ডের পর লঞ্চ বরিশালে পৌছলে ঘাতক মনিরুজ্জামান লঞ্চ থেকে নেমে বাসযোপগে ঢাকায় চলে আসে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বরিশাল নৌ থানার এসআই অলক চৌধুরী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওই নারীর লাশ শনাক্ত করেন তার পরিবারের সদস্যরা। পরে তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে নৌ-পুলিশ।
নৌ-পুলিশ সূত্র জানায়, নিহত নারীর নাম লাবণী। তার দুই ছেলে আছেন। তার স্বামী একজন ইলেকট্রিশিয়ান। ঢাকার পল্লবী-২ নম্বরএলাকার একটি বাসায় থাকতেন তিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায়।
নৌ-পুলিশ সূত্র জানায়, চাকরির প্রলোভনে গত সোমবার ঢাকার সদরঘাট থেকে মো: মনিরুজ্জামানের সঙ্গে লঞ্চযোগে বরিশাল আসছিলেন লাবণী। ওই দিন রাত ৯টা পর্যন্তলাবণীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় তার বাবার। পরের দিন সকালে লঞ্চের কেবিন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আঙ্গুলের ছাপ অনুযায়ী তার পরিচয় উদঘাটন করে পুলিশ।