সম্প্রতি টিএসসি হতে পথশিশু জিনিয়াকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন এই প্রতারক। তার নাম লুপা তালুকদার।এছাড়াও তিনি একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ফেসবুকে নিজেকে একটি গণমাধ্যমের এমডি পরিচয় দিলেও বাস্তবে সেই গণমাধ্যমের কোন অস্তিত্বই পাওয়া যায় নি।
তথাকথিত মানবাধিকার ও গণমাধ্যম কর্মী। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাই টিভি দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করে এই প্রতারক, সাংবাদিকতার মুখোশের আড়ালে লুপা তালুকদার বিভিন্নভাবে নারীদের ফাঁদে ফেলে অনৈতিক কাজে বাধ্য করতো পাশাপাশি পথশিশুদের অপহরণ করে পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগও আছে এই বহুরূপী প্রতারকের বিরুদ্ধে। আর লোপার এসব অপকর্মের সেল্টার দেয়ার অভিযোগ খোদ সাংবাদিক নেতাদের বিরুদ্ধে।
সাংবাদিক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে প্রভাবশালীদের তদবিরে ইতিমধ্যে তিনি হত্যা মামলা থেকেও খালাস পেয়েছেন। সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সাথে গড়ে তুলছেন সখ্যতা। এই প্রতারকের স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার পর্যন্ত সুযোগ হয়েছে।
এছাড়াও লোপা তালুকদার ফেসবুকে নিজেকে আওয়ামী পেশাজীবী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দাবি করলেও আদতে এই নামে আওয়ামীলীগের কোন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনই নেই।
রাজনীতি ও গণমাধ্যমে এইসব প্রতারকদের আশ্রয়দাতা হিসেবে প্রতারকদের অপরাধের দায়ভার কোনভাবেই এড়াতে পারবেন কেউ। এরা নারী জাতির কলঙ্ক। এই মুখোশধারী ছদ্মবেশী নারীর সকল কুকর্ম টেনে আনা হোক এবং প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া হোক।