প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:৩৫ পিএম আপডেট: ০৮.০৯.২০২০ ১০:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি এখন বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন। অত্যন্ত প্রখর মেধা নিয়ে, প্রজ্ঞা আর নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনিই আমাদের উন্নয়নের ফিনিক্স পাখি। দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপে এসব কথা বলেন আলোচকরা। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবং সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক আলী আশরাফ, ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন এবং তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা ফাইয়াজুল হক রাজু। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
ফাইয়াজুল হক রাজু বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি আপনাদের সাথে। সময়টা ২০০৭ সাল। আমার আব্বা ওই সালেই মারা গেলেন। তখন আব্বাকে মার্কিন দূতাবাস থেকে জানানো হলো, নেত্রীকে গ্রেফতার করা হবে। তখন আব্বা বলেছিলেন, আমার ফোন থেকে নেত্রীর সাথে কথা বলতে। আমি খুব সকালে নেত্রীকে তার ফোনে ফোন করলাম। রাজু বলতেই তিনি আমাকে চিনলেন। নেত্রীকে আমি যখন বলেছিলাম, আপনাকে দুই একদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে। নেত্রীও বললেন, ‘আমিও শুনেছি। করলে কি আর করার। কিন্তু আমি কার কন্যা, আমার শেঁকড় কতটা শক্তিশালী সেটা জানো।’ এই বলে তিনি ফোন রেখে দিলেন। নেত্রীকে গ্রেপ্তারের পর আমরা নিয়মিত জিল্লুর রহমানের বাসায় নিয়মিত যেতাম। ওই সময় তার জন্মদিনে কোনো আওয়ামী লীগের নেতাকে আমি পাইনি। জিল্লুর রহমান চাচার বাসার সামনে প্যান্ডেল করে হুজুরদের দিয়ে মিলাদের আয়োজন করেছিলাম। এরপরই গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে আমাকে ডাকা হয়েছিল। ব্রিগেডিয়ার বারী আমাকে আকার ইঙ্গিতে হুমকিই দিয়েছিলেন। আজকে একটা কথা বলতেই হয়, তিনিই আমাদের উন্নয়নের ফিনিক্স পাখি। তার হাত ধরেই দেশের সকল উন্নয়ন হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে আমরা শেখ হাসিনাকে পেয়েছি। বাংলাদেশের যা কিছু ভালো, সেখানেই শেখ হাসিনা। অনেক ক্ষেত্রে তিনি বঙ্গবন্ধুকেও ছাড়িয়ে গেছেন। তার নেতৃত্বের পাশে থেকে হাতকে আরো শক্তিশালী করাই আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক মিথ্যাচার হয়েছে। খন্দকার মোশতাক আর জিয়াউর রহমান মিলে এদেশকে পিছিয়ে নিয়েছিল। বিপথগামী সৈন্যরা একাজ করতে পারেনি। এটা ছিল একটা সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমাদের নেত্রী এই বয়সে বলেছিলেন, মুহিত সাহেব যদি এই বয়সে পারেন এমন একটা মন্ত্রণালয় চালাতে। আমি কেন পারবো। তিনি দেশকে যেভাবে সেভাবে দিয়ে যাচ্ছেন, সুস্থ থেকে তিনি আমাদের এভাবেই সেবা দিবেন, এই প্রত্যাশা করি।