প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৫:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদীর যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের নামে করা অস্ত্র আইনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলাটিতে ১২ জন সাক্ষীর সবাই সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্তকর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। এরপর তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। এদিন তার জেরা শেষ হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেছে। আসামিপক্ষের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য বুধবার দিন ধার্য করে আদালত।
এর আগে রবিবার আদালতে সাক্ষ্য দেন পুলিশ পরিদর্শক শাইরুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক সুধাশন সরকার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপপরিদর্শক আরিফুজ্জামান। সেদিন আরিফুজ্জামানের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ না হওয়ায় আজ সাক্ষ্য গহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।
গত ২৯ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপপরিদর্শক আরিফুজ্জামান শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র মামলায় তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে ১২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। অন্যরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)।
তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর ওইদিন রাতেই নরসিংদীর বাসায় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়।
এছাড়া ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে রওশন’স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র্যাব।
ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।