করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু নয় লাখের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেবে অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট লাখ ৯২ হাজার ৬৪৮ জনে।
সেই সাথে করোনাভাইরাসে নিশ্চিত আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৭৩ লাখ ৩২ হাজার ৪৩৩ জন।
ইতোমধ্যে এক কোটি ৮২ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ করোনা থেকে সেরে ওঠেছেন বলে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যে দেখা গেছে।
মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬৩ লাখ ৬৭১ জন আক্রান্ত এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৮৯ হাজার ২০৮ জন, যা বিশ্বের মোট মৃত্যুর এক-পঞ্চমাংশের বেশি।
আক্রান্ত বিবেচনায় মহামারিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় সোমবার উঠে এসেছে ভারত। সেখানে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৪২ লাখ ৮০ হাজার ৪২২ জন আক্রান্ত এবং ৭২ হাজার ৭৭৫ জন মারা গেছেন।
ভারত সরকার সংকুচিত অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালুর প্রচেষ্টা চালানোর মধ্যে দেশটিতে প্রায় এক মাস ধরে প্রতি দিনের হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হচ্ছে।
এদিকে, তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে ৪১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯৪ জন আক্রান্ত এবং এক লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন মারা গেছেন।
করোনায় ৩০ হাজারের বেশি মারা যাওয়া অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, ইতালি ও ফ্রান্স।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হয় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫১৬ জনে।
এছাড়া, নতুন করে ২ হাজার ২০২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৩৫৯ জনে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ হাজার ২৯৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৩ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৬৮.৬০ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।