প্রকাশ: বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০, ১০:০৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড শাস্তি প্রাপ্য। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে কুশীলব হিসাবে জিয়াউর রহমানও জড়িত ছিলেন এটা আত্নস্বীকৃত খুনিদের জবানবন্দিতে প্রমাণিত হয়েছে। তাই কমিশন গঠন করে জিয়াউর রহমানেরও মরোণত্তোর বিচার হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন আলোচকরা।
বুধবার দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপে এ দাবি করেন আলোচকরা। আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, সংসদ সদস্য এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সংসদ সদস্য এবং সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. কামরুল ইসলাম এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানের সঞ্চলনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন।
কামরুল ইসলাম বলেন, আগস্ট মাস মাসেই ষড়যন্ত্রের মাস। দেখুন ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ছিল পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। ঠিক এর পরের দিনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিন হিসাবে বেছে নিয়েছিল খুনিরা। আপনারা লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসএই’র প্রতক্ষ্য মদদে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। খুনি হিসাবে খন্দকার মোশতাক, কর্ণেল রশিদ, ফারুকদের নাম সামনে এসেছে। কিন্তু নেপথ্যে থেকে জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের কলকাঠি নেড়েছিলেন সেটা আত্নস্বীকৃত খুনিদের সাক্ষাতকারে এবং জবানবন্দিতে প্রমাণিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ই আগস্টের শেষ দিকে খন্দকার মোশতাক, মাহবুবুল হক চাষী এবং জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের কনফেডারেশন করতে ষড়যন্ত্র চালিয়েছিল। ওই কারণে মোশতাককে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল এবং জিয়াকে সেক্টর কমান্ডর পদে কয়েকদিন কাজ করতে দেয়া হয়নি। এরপর জিয়া ক্ষমতা গ্রহণের পর মুক্তিযুুদ্ধের বিরোধী শক্তিকে এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ বেতারকে রেডিও বাংলাদেশ করেছিল, জয় বাংলা স্লোগানের পরিবর্তে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ সৃষ্টি করেছিল। মূলত দেশটাকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল জিয়াউর রহমান। তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও একই কাজ করে গেছেন। এমনকি যুদ্ধাপরাধী নিজামীদের মন্ত্রী করে জাতীয় পতাকা তাদের গাড়িতে তুলে দিয়েছিল। এদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতেই বিএনপি-জামায়াত কাজ করে গেছেন। এদেশে ৭২ এর সংবিধানের চার মূলনীতিকে ভুলণ্ঠিত করেছে খালেদা জিয়ার সরকার। এমনকি সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পৈশাচিক ঘটনা ঘটিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এ হামলা চালানো হয়েছিল শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃত্বকে হত্যা করার জন্য। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূণ্য করার উদ্দেশ্য এমন জঘন্য কাজটি করেছিল। এই গ্রেনেড হামলার সাথেও নেপথ্যে থেকে যারা জড়িত তাদেরও বিচার করতে হবে। আমি একটা কথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি শেখ হাসিনা কাছেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত থাকবে।