ভারতের পাঞ্জাবে বিষাক্ত মদ পানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৪

https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif

প্রকাশ: সোমবার, ৩ আগস্ট, ২০২০, ১২:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে বিষাক্ত মদ পান করে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এসব ঘটনায় প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলছেন না বলে অভিযোগ করেছে পুলিশ। খবর এনডিটিভির।

খবরে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে তরণ-তারাণ জেলায়। এছাড়া অমৃতসর আর গুরদাসপুর জেলায়ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বিষাক্ত মদে মৃত্যুর ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে আবগারি দপ্তরের ৬ জন আর ৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন।

বিষাক্ত মদ তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার সাথে জড়িতদের আটক করতে শনিবার পাঞ্জাবে শতাধিক অভিযান চালায় পুলিশ। ইতিমধ্যে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা।

বুধবার রাতে অমৃতসরের মুছাল গ্রাম থেকে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। শুক্রবার রাতে মৃতের সংখ্যা দাড়ায় ৩৮ জনে। আর শনিবার রাতে জানা যায় যে, বিষাক্ত মদ পান করে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৮ জনের। সোমবার সকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা ১০৪ এ পৌঁছেছে। সরকারি কর্মকর্তারা এখন হিসাবও দিতে পারছেন না যে আসলে কত মানুষ ওই মদ পান করে হাসপাতালাতে ভর্তি আছেন।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, বেশিরভাগ পরিবারই সামনে আসছে না। তারা কোনো অ্যাকশন নেওয়া হোক সেটা চাইছে না। অনেকেই আবার পোস্ট মর্টেমও করতে দিচ্ছে না। অনেক আক্রান্তের পরিবার থানায় আসছে না। কিন্তু পুলিশ বারবার তাদের সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করে চলেছে।

গুরুদাসপুরের জেলা প্রশাসক মোহম্মদ ইসফাক বলেন, অনেক পরিবার এটাই স্বীকার করছে না যে, তাদের পরিজনের মৃত্যু বিষাক্ত মদ খেয়ে হয়েছে। তারা বলছে তাদের পরিজনের মৃত্যু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হয়েছে।

স্থানীয়ভাবে পাওয়া খবর থেকে ধারণা করা হচ্ছে বিপুল আয়তনে উৎপাদিত অবৈধ মদ রাস্তার পাশে অবস্থিত খাবারের দোকানগুলোতে বিক্রি করা হয়, যা পরে স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তার ধারে খাবার দোকানগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে বিষ মদ তৈরির মূল উপাদান 'লাহান' জব্দ করেছে পুলিশ।

এর আগে শুক্রবারই এমন একটি খবর এসেছিল যে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশে স্যানিটাইজার পান করে দশ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতের অনেক জায়গাতেই অবৈধভাবে তৈরি করা মদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অবৈধভাবে তৈরি মদগুলো প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের মদের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম দামের হয়ে থাকে।

অবৈধ মদ উৎপাদনকারীরা অনেকসময় মদের সাথে মেথানল মিশিয়ে থাকে, যেটি অ্যালকোহলের একটি অত্যন্ত বিষাক্ত রূপ। মেথানল কম পরিমাণ গ্রহণ করলেও এর ফলে যকৃতের পচন থেকে শুরু করে অন্ধত্ব, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

« পূর্ববর্তী সংবাদ

পরবর্তী সংবাদ »