প্রকাশ: সোমবার, ৩ আগস্ট, ২০২০, ১:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনা ভাইরাস পৃথিবীর অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে। বদলে দিয়েছে মানুষের প্রচলিত সামাজিক রীতিনীতি। করোনাকালে ঈদ শুভেচ্ছার ধরণও বদলে গিয়েছে।
রবিবার (২ আগস্ট) দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপে এসব কথা আলোচকরা। সংলাপে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ড. হারুন-উর-রসীদ আসকারী, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানের সঞ্চলনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন।
এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, এই মহান শোঁকের মাস আগস্টে জাতি এক মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হারিয়েছে। ঠিক এর মধ্যেই আমাদের মুসলমান ধর্মাবলীদের সর্ববৃহৎ দ্বিতীয় অনুষ্ঠান ঈদুল আজহা উদযাপন করছে বাংলাদেশ। এর মধ্যেই আমরা করোনার ভয়াল থাবা অনেকদিন ধরে আঁকড়ে ধরেছে আমাদেরকে। এরমাঝে হল সুপার সাইক্লোন আম্পান, যা বাংলাদেশে বিশেষ করে সাতক্ষীরায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। এখন উত্তর বঙ্গ থেকে সৃষ্টি যে বন্যা চলমান রয়েছে তা বর্তমানে ঈদের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। এই ঈদে মানুষ যতটা না আনন্দ করেছে তার থেকে বেশি উৎকণ্ঠায় রয়েছে কিভাবে এই করোনার গ্রাস থেকে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখা যায়। ঈদুল আজহার যে সবচেয়ে মূল বিষয় হচ্ছে পশু কোরবানি এবং এই কোরবানির পশুকে কিভাবে সংরক্ষণ করা যায় তাও এই সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকায় এবার অনেক সফল হয়েছে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন যার ফলে এবার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে গরুর হাট পরিচালনা করা হয়েছে। কোরবানি নিয়ে ছোট ছোট থেকে বড় যেসব দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল তা আমরা যারা মাঠ পর্যায়ে রয়েছি তারা বাস্তবায়ন করেছি।
তিনি আরও বলেন, করোনাকালে আমাদের সরকারের তরফ থেকে যে ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়েছিল তা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক প্রশংসনীয়। মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে বুজতে পেরেছি যে, সারা বিশ্বে করোনায় যারা আক্রান্ত হয়েছে ও মারা গিয়েছে তা মোকাবেলার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা উপধাপন করতে পেরেছি। মহান স্বাধীনতা চলাকালীন সময়ে আমরা দেখেছিলাম এদেশেরেই গুটিকয়েক লোক এদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল এবং যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সেই গুটিকয়েক এদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে। বিশ্বের কাছে করোনা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ একটি রোল মডেল। কারণ এই করোনায় আমাদের মৃত্যু হার কম শুধু তা নয়, এর ফলে সারা বিশ্বে যে অর্থনৈতিক বিপর্যয় হয়েছে তার দিক থেকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ভাবে বর্তমানে অনেক স্বাবলম্বী অবস্থায় আছে।