প্রকাশ: রোববার, ২ আগস্ট, ২০২০, ৫:১৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মোংলায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় দুই সার্ভেয়ার গুরুতর আহত হয়েছে। সন্ধ্যা পোনে ৭টার দিকে উপজেলার চাদঁপাই ইউনিয়নের চাদঁপাই মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রিজের গোড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করলেও সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধামকিতে থানায় মামলা দিতেও পারছেনা বলে হাসপাতাল থেকে অভিযোগ করেন আহত ওই দুই সার্ভেয়ার ও তার পরিবারের সদস্যরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে গিয়ে জানা যায়, শুক্রবার সকালে সার্ভেয়ার নওয়াব আলী প্রতিবেশী মনিরুল ইসলামের কাছে চিংড়ী ঘেরের জমির হারির পাওনা টাকা চাইতে গেলে ক্ষমতাশীনদের ভয় দেখিয়ে টাকা দিবেনা বলে গাল মন্দ করে সার্ভেয়ার নওয়াব আলীকে। এসময় নওয়াব আলী কিছু না বলে তার বড় ভাই এলাকার চৌকিদার জাহাঙ্গির হোসেনকে বিষয়টি জানায়। এতে মনিরুল আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সময়ই সার্ভেয়ার নওয়াব আলীকে গালাগালী ও মারধর করে চলে যায়। সামান্য পাওনা টাকার জন্য সার্ভেয়ারের গায়ে হাত তোলা নিয়ে ক্ষিপ্ত হয় মনিরুলের বড় ভাই চৌকিদার জাহাঙ্গির হোসেন। সন্ধ্যার দিকে সার্ভেয়ার নওয়াব আলীকেসহ বিষয়টি মিট মিমাংশা করার জন্য উভয়কে ডেকে আনে স্থানীয় চৌকিদার ও এলাকাবাসী।
এসময় স্থানীয় চিহ্ণিত সন্ত্রাসী মনিরুল মল্লিক, লোকমান মল্লিক, একরাম মল্লিক, এনামুল কবির ও হাফিজুর রহমানসহ কয়েকজন একাত্রিত হয়ে লাঠি-সোটা নিয়ে পুনরায় সার্ভেয়ার নওয়াব আলীকে পিটাতে থাকে। নওয়াবের ডাকচিৎকার শুনে স্কুল মাঠে খেলা দেখতে আসা সার্ভেয়ার আলী হোসেন নওয়াব আলীকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে তাকেও বেধরক মারধর করে এসকল সন্ত্রাসীরা।
এসময় এলাবাসী ছুটে আসলে তাদের অচেতন রেখে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। আহত নওয়াব আলী ও আলী হোসেনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে আহত সার্ভেয়ারদের অভিযোগ, এলাকায় এক প্রভাবশালী ও ক্ষমতাশীন নেতার ছত্রছায়ায় কিছু চিহ্ণিত সন্ত্রাসী গড়ে উঠেছে। তার ইন্দোনেই বিনা অপরাধে আমাদের উপর এ হামলা চালিয়েছে তারা। এসকল সন্ত্রাসীদের হুমকির ভয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ও থানায় মামলাও দিতে পারছেনা হামলার শিকার অসাহয় এ পরিবারের সদস্যরা।
প্রত্যাক্ষদশর্ী স্থানীয় চৌকিদার জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, আমার ছোট ভাই মনিরুল অপরাধ করেছে, তাই জেনে তাদের উভয়কে ডেকে মিট মিমাংসা করার জন্য ডেকে ছিলাম কিন্ত আমার সামনে ছোট ভাই তার দলবল নিয়ে যে ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে আর কিছু বলার নাই। এখানে শুধু সার্ভেয়াররা অপমানিত হয়নী, আমিসহ এখানে অনেকেই অপমানিত হয়েছি।
চাদপাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আজিজুর রহমান জানায়, চাদপাই এলাকায় যে মারামারীর ঘটনা ঘটেছে এটা অনাকাক্ষিত। আমি বিষয়টি জানতে পেরে চাদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মোঃ তরিকুল ইসলাম ও মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইস্রাফিল হাওলাদারকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষকে ডেকে মিটিয়ে দেয়ার জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।