প্রকাশ: রোববার, ২ আগস্ট, ২০২০, ৪:১৮ পিএম আপডেট: ০২.০৮.২০২০ ৬:৩৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঈদ-উল-আযহার ২৪ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও কেরানীগঞ্জের অস্থায়ী পশুর হাটগুলো থেকে এখনো হাট ও কোরবানি বর্জ্য অপসারণ করা হয়নি। তাছাড়া অধিকাংশ এলাকাবাসী কোরবানির বর্জ্য ও জবাইকৃত পশুর নাড়িভুঁড়ি, রক্ত বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে নদীর পানিকে পুনরায় দূষিত করে চলেছে।
করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন নদীতে বর্জ্য ও বিভিন্ন দূষিত সামগ্রী ফেলা বন্ধ থাকায় নদীর পানি অনেকটাই দূষণমুক্ত হয়েছিল কিন্তু কোরবানির বর্জ্যের কারণে আবার দূষিত হতে যাচ্ছে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি।
তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্জ্য অপসারণের জন্য হাট ইজারাদার ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকে নির্দেশনা দেয়া আছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ।
কিন্তু আজ সকালে বিভিন্ন হাট এলাকা এবং সড়কগুলোতে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির পানির কারণে বিভিন্ন স্থানে কাদা হয়ে গেছে যা জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়েছে এবং রাস্তায় পড়ে থাকা জবাইকৃত পশুর চামড়া এবং উচ্ছিষ্ট কুকুরের খাবারের একটি বড় আধারে পরিণত হয়েছে।এসব বর্জ্য বৃষ্টিতে সড়কে ছড়িয়ে পড়ছে। পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
এবছর স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন শর্তসাপেক্ষে যে কয়টি স্থানে পশুর অস্থায়ী হাট বসানো নির্ধারণ করে দিয়েছিল, সেখানেই বর্জ্য স্তূপ হয়ে রয়েছে।
কোরবানি করার জন্য কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ না থাকায় যে যাঁর মতো নিজের সুবিধাজনক স্থানে পশু কোরবানি দিয়েছেন। ফলে এখন বর্জ্য রাস্তায় ছড়িয়ে রয়েছে । বর্জ্য থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষের চলাচল ব্যাঘাত ঘটছে ।
ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ইজারাদারদের কেউ তা পরিষ্কার করছে না।
উল্লেখ্য, এবছর কেরানীগঞ্জ উপজেলায় পশু বিক্রির জন্য সাতটি অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা দরপত্র আহ্বান করেছিল উপজেলা প্রশাসন। শর্তসাপেক্ষে ছয়টি হাটের ইজারা দিয়েছে উপজেলা কর্তৃপক্ষ। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনুমতি ছাড়া বসেছিল অবৈধ একাধিক হাট। সেসব স্থানেও বর্জ্য স্তূপ হয়ে রয়েছে।
এবিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ বলেন, হাট শেষ হওয়ার সাথে সাথে বর্জ্য অপসারণের জন্য প্রতিটি হাটের ইজারাদার ও হাট সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া আছে। তারপরেও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি আমরা মনিটরিং করবো।