করোনা মহামারিতে পৃথিবীর আজ বড্ড অসুখ। স্বাভাবিক পৃথিবীতে আবারো সুরের মুর্ছনায় মুখরতা পাওয়া যাবে। এরি মধ্যে চলে এসেছে ঈদ। ত্যাগ ও মহিমার ঈদ আনন্দে সবাই সবার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় শিল্পীরাও ভালো নেই। তাদেরও পাশেও সরকার ও ব্যক্তি পর্যায়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে উপহার দিচ্ছেন অনেকে।
এমনি এক সময়ে দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপে শনিবার (১ আগস্ট) বিষয়বস্তু ছিল করোনায় ঈদ আনন্দ। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি। শনিবার ঈদের বিশেষ আয়োজন আয়োজনে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী আবু আফফান রোজবাবু, নজরুল সংগীত শিল্পী ছন্দা চক্রবর্তী, গীতিকার সাইফুদ্দিন ইমন, বিউটি এক্সপার্ট লিওনা রহমান লিয়ান, সংগীত শিল্পী বীথি দাস এবং অভিনেত্রী বর্ষা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই করোনা পরিস্থিতিতে শিল্পী সমাজের অসহায় অবস্থা তুলে ধরেন আবু আফফান রোজবাবু। তিনি বলেন, এই করোনার সময় অনেক প্রতিষ্ঠিত শিল্পী আছে যিনি ভ্যানগাড়ি চালাচ্ছেন। সমাজের বিত্তবানদের শিল্পীদের পাশে থাকার আহ্বান জানান। তিনি সাতক্ষীরার দুইজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পীর দুরাবস্থার কথা লাইভে তুলে ধরলে অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের মাধ্যমে সেই শিল্পীদের সকল দায়িত্ব নেন ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসান।
এছাড়া, গীতিকার সাইফুদ্দিন ইমন ব্যক্তিগতভাবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের রাজনৈতিক সচিব হিসাবে কাজ করছেন। এই কারণে করোনার মধ্যে শিল্পীদের বিশেষ করে যন্ত্র শিল্পী এবং এফডিসির কম আয়ের শিল্পীদের উপহার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। শখের বসে গান লেখার কাজটি ২০০৭ থেকে শুরু করলেও ২০১৫ থেকে বাণিজ্যিকভাবে গান লেখার কাজ করার কথা বলেন সাইফুদ্দিন ইমন। করোনার আগে থেকেই আরো একটি এ্যালবামের কাজ শুরু করেছেন। আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যেই ভারত-বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের নিয়ে গানগুলো বাজারে আসবে জানান ইমন।
নজরুল সংগীত শিল্পী ছন্দা চক্রবর্তী বলেন, এই করোনার দুঃসময় কেটে আলো আসবেই। সরকারি সংগীত কলেজের নজরুল সংগীতের শিক্ষক হিসাবে কাজ করছি। এই সময়ে অনলাইনে ক্লাস নিতে আমাদেরও খারাপ লাগে কিছুটা। এসময় আমি যতটুকু পারি শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার চেষ্টা করছি। নিউ নরমাল লাইফে অভ্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি আমি বিশ্বাস করি, অবশ্যই এই দুর্যোগ কেটে যাবে। আলো আসবেই। আবারো আমরা প্রাণখুলে গান গাইবো।
বিউটি এক্সপার্ট লিওনা রহমান লিয়ান তার এই পথচলার গল্প বলেন। তারপর তিনি তার গুরু ফারজানা রহমান ইস্পিতার কথা বলেন। এই করোনার সময় প্রথম দিকে আতকিংত থাকলেও বর্তমানে সাহস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকেই সাহস পাচ্ছেন বলে জানান। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে তিনি নিজের সৌন্দর্য ঘরে বসে কিভাবে ধরে রাখা যায়, সে বিষয়েও কিছু টিপস দেন।
এছাড়া, সংগীত শিল্পী বীথি দাস বলেন, এত গুণীজনদের মধ্যে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভোরের পাতার প্রতি কৃতজ্ঞ। নিজের সংগীত জীবন নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, গানের মধ্য দিয়ে আমি প্রকৃত শান্তি পাই। গানটা পুরোপুরি শিখেই গুরুজনদের পরামর্শ নিয়েই গানের সাথে থাকতে চাই। গান নিয়েই আমার অনেক স্বপ্ন।
অভিনেত্রী ও সংগীত শিল্পী বর্ষা চৌধুরী বলেন, আমি আসলেই পরিবারের কাছ থেকে সব সময়ই সাপোর্ট পেয়েছি অভিনয়ের এই যাত্রাপথে। আমার বাবা মা আমাকে সব সময়ই সাপোর্ট দিয়েছেন নায়িকা হওয়ার ক্ষেত্রে। আমার অভিষেকই হচ্ছে বড় পর্দায়। এক্ষেত্রে আমি নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করি। আমার প্রথম ছবি ‘অফিসার’ অল্প দিনের মধ্যেই শুটিং শেষ হবে। এছাড়া আমি আরো ৪ টা ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। অনুষ্ঠানের শেষদিকে তিনি নিজের লেখা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি গান পরিবেশন করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আবু আফফান রোজবাবু, নজরুল সংগীত শিল্পী ছন্দা চক্রবর্তী এবং বীথি দাস কয়েকটি গান পরিবেশন করেন।