প্রকাশ: শনিবার, ১ আগস্ট, ২০২০, ৬:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করেছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। এ কাজে যুক্ত রয়েছেন সাড়ে ১৭ হাজার কর্মী।
ঢাকা উত্তর (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণের জন্য নগরীতে ২৫৬টি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। ঈদের দিন প্রায় ১০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। প্রতিবছরের মতো এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্জ্য অপসারণের জন্য ভারি ও হালকাসহ তিন শতাধিক যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ১২টি পানির গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানির স্থান দূষণমুক্ত করা হবে। পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণমুক্ত রাখতে ৪২ টন ব্লিচিং পাউডার ও ১৮০০ লিটার তরল জীবাণুনাশক ছিঁটানো হবে।
এছাড়া মাঠপর্যায়ে ডিএনসিসির নিজস্ব, আউটসোর্সিং এবং প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার কর্মীসহ ১১ হাজার ৫০৮ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী মাঠে থাকবে।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, কোরবানি উপলক্ষে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য ডিএসসিসি থেকে প্রায় এক লাখ বিশেষ ধরনের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডের ৭৫টি নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করার জন্য বলা হয়েছে। এজন্য জনসচেতনতা সৃষ্টিতে এক লাখ লিফলেটও বিতরণ করা হয়েছে।
কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, বর্জ্য অপসারণে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে। কোরবানির পর যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে, আমরা তা দুপুর ২টা থেকে সম্পূর্ণরূপে অপসারণের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এবারও আমরা ঢাকাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারবো।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ ছুটিতে নেই।