শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
দুধের অভাবে পাঁচমাস ধরে ময়দা গোলা পানি খাচ্ছে যমজ শিশু
প্রকাশ: শনিবার, ১ আগস্ট, ২০২০, ১:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

আট মাসের যমজ শিশু সাফিয়া ও মারিয়া সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি। জন্মের পর তিনমাস পর্যন্ত তারা কেনা দুধ খেতে পারলেও এখন তাও পাচ্ছেন না। কখনো পানিতে চালের গুঁড়া মিশিয়ে আবার কখনো পানির সঙ্গে আটা কিংবা ময়দা মিশিয়ে তাদের খেতে দেন মা।

সাফিয়া ও মারিয়ার বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউপির ফয়জুল্লাহপুর গ্রামে। বাবা আনিসুর রহমান ভ্যানচালক। মা স্বপ্না বেগম মানুষের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে সাফিয়া ও মারিয়ার মুখে খাবার তুলে দেয়ার চেষ্টা করেন। বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩ নম্বর বেডে রয়েছে ওই যজম শিশুরা।

মা স্বপ্না বেগম জানান, ওদের বয়স এখন আট মাস। আমার বুকের দুধ শুকিয়ে গেছে। জন্মের তিন মাস পর্যন্ত দুধ কিনে খাইয়েছি তাদের। তারপর থেকে টাকা নেই। তাই চালের গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে খাইয়েছি কয়েক মাস। এখন ময়দা ও আটা পানিতে গুলিয়ে খেতে দেই তাদের। এভাবে গত ছয় মাস ধরে খাওয়াচ্ছি।

তিনি বলেন, তিনদিন আগে জ্বরে তাদের মুখ, চোখ ও শরীর ফুলে যায়। এ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতাল থেকে ওষুধপত্র দিচ্ছে। চিকিৎসক বলেছেন, ঠিকমতো ওষুধ খেলে সুস্থ হয়ে যাবে।

হাসপাতালের একই ওয়ার্ডের ১৬ নম্বর বেডে অসুস্থ নাতনিকে ভর্তি করে রেখেছেন মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, গত তিনদিন ধরে যা দেখেছি তাতে মনে হলো এই দুই শিশুকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন, তাই বেঁচে আছে। যা খাওয়ানো হয় সেটি কোনো শিশুর খাওয়ার কথা না। কোনো শিশু এসব খায় কি-না আমার জানা নেই। ময়দা গুলিয়ে, আটা গুলিয়ে আবার তাদের খেতে দিচ্ছে মা। কিভাবে শিশু দুটি বেঁচে আছে একমাত্র আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

যমজ দুই শিশুর বাবা আনিসুর রহমান বলেন, আমি গরিব মানুষ। ভ্যান চালাই। দুর্ঘটনায় পড়ে গত ৪০ দিন ধরে ভ্যান চালাতে পারিনি। দেড় মাস আগে আমাদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ২০০ গ্রাম দুধ দিয়েছিলেন। সেই দুধ শিশুদের খাইয়েছি। অভাবের কারণে তাদের দুধ কিনে দিতে পারি না। ভ্যানটিও এখন অকেজো হয়ে গেছে। বাচ্চা দুটি হাসপাতালে ভর্তি। আমি অসুস্থ হয়ে বাড়িতে আছি। তাদের মা হাসপাতালে। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।

শিশু সাফিয়া ও মারিয়ার চিকিৎসা করছেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসক অসীম কুমার। তিনি বলেন, শিশু দুটো জন্মের পর থেকে ভালো দুধ বা পুষ্টিকর কোনো খাবার না পাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রোটিন কমে গেছে তাদের। আমিষজাতীয় কোনো খাবার দুই শিশু পায়নি। শুনেছি ময়দা গুলিয়ে পানি খাওয়ায়। আবার জেনেছি কখনও কখনও কলাপাতা চিবিয়ে তাদের খাইয়েছে মা। এভাবে অপুষ্টিজনিত কারণে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে শিশু দুটির।

তিনি আরো বলেন, এখন প্রধান কাজ হচ্ছে শিশু দুটিকে ভালো খাবার দেয়া। ভালো খাবার খেয়ে যদি শরীরে প্রোটিন ফিরে পায় তবে সুস্থ হয়ে যাবে। পরিবার অভাবি জেনে আমি ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করেছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ফ্রিতে করে দিয়েছি।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]