প্রকাশ: শনিবার, ১ আগস্ট, ২০২০, ১:০৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালীর বাউফলে একই দলের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে ৯ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর জখম ১জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও দুইজনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় একাধীক মটর সাইকেল সহ কেশবপুর কলেজেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন সাড়ে ১২টার দিকে কেশবপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মটর সাইকেল যোগে কেশবপুর কলেজের পাশ দিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। এসময় ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুজন তালুকদার, তার ছোট ভাই রুমন তালুকদার ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জহিরুল হকের নেতৃত্বে ৫-৭ জন লোক রফিকুল ইসলামের মটর সাইকেলের গতিরোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে জখম করে এবং তার মটর সাইকেলটি ভাংচুর করে। একপর্যায়ে তাকে টেনে হেচরে কলেজের ভিতরে একটি রুমে নিয়ে পুনরায় মারধর করে।
এ খবর পেয়ে কালিশুরী আরআরএফ পুলিশ ক্যাম্পের এসআই রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। রফিকুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এই ঘটনার জের ধরে ওই দিন দুপুর দেড়টার দিকে আহত স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলামের ১০-১২ জন অনুসারিরা কেশবপুর বাজারে গিয়ে সুজন তালুকদার ও যুবলীগ সভাপতি জহিরুল হকের অনুসারি ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বশির আহম্মেদ ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিমসহ ৮-১০ জনকে মারধর করে। এদের মধ্যে আহত বশির ও ইব্রাহিমকে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।