জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একটি পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। ধর্মের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রে অসাম্প্রদায়িক একটি রাজনৈতিক দল গঠনের মাধ্যমে তিনি মানুষের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছিলেন। ১৯৪৯ সাল থেকে ৭১ সাল পর্যন্ত জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য বারবার কারাবরণ করেছেন। আগরতলা মামলার সময় আমরা ছাত্র নেতারা স্লোগান দিতাম, তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার নেতা আমার নেতা, শেখ মুজিব শেখ মুজিব। চলো ক্যান্টনমেন্টে চলো, শেখ মুজিবকে আনতে চলো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে এক সুতোয় বেঁধেছিলেন। তিনি অধিকার আদায় করে নিয়েছিলেন, ‘তুমি’ বলে সম্বোধন করার। ৭ মার্চ তিনি সবাইকে তুমি বলেই সম্বোধন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের বিনির্মাণে কাজ শুরু করলেন। তারপর বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে মেনে নিতে পারেনি একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা। রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সাথে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কিছু লোকও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল। পরাজিত শক্তিরা ভেবেছিল, মোশতাকদের সাথে নিতে পারলেই এটাকে পারিবারিক হত্যাকাণ্ড বলে চালিয়ে দেয়া যাবে। কিন্তু এই বঙ্গবন্ধুর বাংলায় তার হত্যাকারীরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিদেশে চাকরি পেয়েছে। রাজাকার নিজামীদের গাড়িতে মন্ত্রীত্বেও পতাকা উড়েছে। বঙ্গবন্ধু কোনো সাধারণ মানুষ ছিলেন না। তিনি আমার কাছে দার্শনিক, শিক্ষক ও মহান নেতা। রাজনীতি যদি শুধু বিরোধিতা করা হয়, তাহলে আমি সেই রাজনীতি থেকে অবসর নিবো।
তিনি বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশকে আমেরিকা, ফ্রান্স ভাবলে চলবে না। লকডাউনের সময় আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমরা সেই নির্দেশ মেনে রাতের আঁধারে গিয়ে ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের আওয়ামী লীগের ২০০ জন নেতা এই করোনার মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে চলে গেছে। আমার নেত্রী বারবার বলেছেন, ‘নানক তুমি এত দৌঁড়াদৌড়ি করো না।’ কিন্তু আমি মানুষের পাশেই থাকছি। কিন্তু আমি বিএনিপর কোনো নেতাকে ত্রাণ নিয়ে যেতে দেখি নাই। আমি জেলায়, উপজেলায় কথা বলছি। আমি নেত্রীর পক্ষে মানুষের জন্য কাজ করছি।