মো. হারুনুর রশীদ বলেন, ষাটের দশকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের আইনশাসন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করেছেন। তার এই অবদান অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে যেভাবে দেখতে চেয়েছিলেন, আজকের বাংলাদেশ কি সেই অবস্থায় রয়েছে। দেশের আর্থিক অবস্থা কেমন আছে তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। আজকে ১২ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। কিন্তু স্বাস্থ্যখাতের এই অব্যবস্থাপনার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। এখনো দেশের ৪৪টি জেলায় করোনা পরীক্ষার করার সুযোগ নেই। কই স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে তো পদত্যাগ করতে দেখি নাই। তারা কিভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিব চেয়ারে থাকে? সরকার এবারের বাজেটেও ৮৫ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ করেছে। কয়েক বছর পর এটা আরো বাড়তে পারে। বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষে আমরা যদি দৃশ্যমান দেখতে পারতাম বাংলাদেশের এই দুর্গতি, দুরবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে পারতো। এই ১২ বছরে দুর্নীতি দমনে কোনো দৃশ্যমান উন্নতি নেই। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মাত্র ২ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম যেখানে কোনো টাকা তছরুপ করা হয়নি, তাকে আড়াই বছর জেলখানায় রাখা হলো। এর মূল উদ্দেশ্যই ছিল খালেদা জিয়া এবং বিএনপিকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখা। আজকে দেশের এই অবস্থায় দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য জাতীয় সংলাপ করতে হবে। বিএনপি বারবার এটা দাবি করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের জাতীয় ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে। দেশে কোনো রাজনীতিই নেই। সারাদেশে একটা অঘোষিত কারফিউ চলছে। বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিত করে দেয়ার চেষ্টাও করা হচ্ছে। মুজিব বর্ষে আওয়ামী লীগকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে, ষাটের দশকে যে আদর্শ নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতো, সেই আদর্শকে ফিরিয়ে আনতে হবে।