প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০, ১১:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় সফল। মুজিব শতবর্ষে আওয়ামী লীগের সরকার এবং দলের পক্ষে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। দেশের মানুষের পাশে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিরোধী দলের রাজনীতিবিদদেরও দাঁড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন আলোচকরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপে এসব কথা আলোচকরা। আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ এবং তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা ফাইয়াজুল হক রাজু। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানের সঞ্চলনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন।
ফাইয়াজুল হক রাজু বলেন, বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। এটা চরমতম সত্য। বঙ্গবন্ধু আজীবন স্বপ্ন দেখেছেন বাঙালি জাতিকে মুক্তি দিতে। ১৯৩৭ সালে বঙ্গবন্ধু এই বয়সে কতটা স্বাধীনচেতা ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হককে নিজেদের দাবি আদায়ে পথে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। খুব কম বয়সেই তার দৃঢ়চেতা মনোভাব গড়ে উঠেছিল। এরপর ধাপে ধাপে তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আমরা যারা যে যেই আদর্শেই বিশ্বাসী হই না কেন, যারা ১৯৭০ সালে, একাত্তর সালে বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু বলতে পারতাম, তাহলে ২০২০ সালে এসে কেউ কেউ যদি তাকে শেখ মুজিব বলে সম্বোধন করেন, এটা আমাদের কষ্ট দেয়। জাতি হিসাবে এটা আমাদের জন্য লজ্জার। মহাত্মা গান্ধী, স্টালিন, লেলিনকে ওই দেশের নয় সবাই সম্মান করেন। এ বিষয়ে আমাদের ঐক্যমতে আসতে হবে। করোনায় হয়তো আমাদের প্রস্তুতি ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছে বাংলাদেশ। রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে কোথাও দেখনি না, করোনার সময় কোনো কাজ করতে। এমনকি তাদের দলের চিকিৎসকদেরও দেখছি না। রাজনৈতিকভাবে তর্ক করা যেতেই পারে। কিন্তু সরকারের সমালোচনা করার পাশাপাশি অবশ্যই ভালো কাজকে সাধুবাদ জানাতে ভুলে গেছে বিএনপি। এই সময় মানুষকে বিভ্রান্ত না করে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। এই সরকারের আমলেই সাহেদকে ধরা হয়েছে। আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকায় দলে কিছু ফাঁক ফোঁকড় হয়েছে। এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। সাহেদ কোনো আওয়ামী লীগের ডাকসাইটে নেতা ছিল না। আমরা চোরকে চোর, সাধুকে সাধু বলছি। খালেদা জিয়াকেও এই সরকারই মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো সাধুবাদ জানানো হয়নি। সারা পৃথিবীতে যে অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব শুরু করেছে। কিন্তু আমাদের দেশে রেমিটেন্সের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিও চাঙা রয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে ঐক্যমতের ওপর সবচে বড় দাগ কেটে গেছে ২১ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায়। এটি রাজনৈতিক ঐক্যমতের ওপর ব্রাশফায়ার চালানো হয়েছে। এই ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক ঐক্যমতের কোনো সুযোগ আসবে বলে আমি মনে করি না। আমি মনে করি, এদেশের রাজনৈতিক ঐক্যমতের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা।